জুমবাংলা ডেস্ক : কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ইউসুফপুর গ্রাম। গ্রামটি কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলায় অবস্থিত। গ্রামের মহাসড়ক লাগোয়া ফসলের মাঠের আয়তন প্রায় ৬ হেক্টর। এই মাঠে আবাদ হয়েছে ৩৬ রকমের সবজি ও মসলা।
মাঠ যেন সবজি মসলার মিউজিয়াম। মাঠে আবাদ হয়েছে সরিষা, পিঁয়াজ, রসুন, মরিচ, ধনিয়া, তিষি, চিনা বাদাম, টমেটো, আলু, মিষ্টি আলু, মিষ্টি কুমড়া, স্কোয়াস, চালকুমড়া, লাউ, বরবটি, সিম, করলা, চিচিংগা, ঢ়েড়শ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, মুলা, খিরা, ডাটা, লালশাক, পুইশাক, গিমাকলমি, পেঁপে,কালোজিরা ও ফ্রেন্সবীনসহ প্রভৃতি।
সরেজমিন দেখা যায়, কোনো জমিতে পিঁয়াজ, কোনো জমিতে রসুন চাষ হয়েছে। সবুজ, লাল, হলুদ রঙের ফসলের মাঠ। ছবির মতো সুন্দর মাঠ। কেউ জমিতে বীজ লাগাচ্ছেন। কেউ ফসল তুলছেন। কেউ ক্রেতাদের নিকট তাদের চাহিদা মতো সবজি বিক্রি করছেন। নগদ টাকা পেয়ে খুশি দেখা গেছে কৃষকদের।
কৃষক ওবায়দুল হক, আলম সরকার ও মাজেদুল হক বলেন, ইউসুফপুর গ্রামের এই মাঠটায় ভালো সবজি ও মসলার চাষ হয়। তবে কৃষি অফিসের পরামর্শে আমরা আরো বেশি সবজি ও মসলার চাষ বাড়িয়েছি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে এই বছর পিঁয়াজ, সরিষা, চিনাবাদামসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি ও মসলার বীজ পেয়েছি। মাঠের দক্ষিণ পাশে একটি খাল রয়েছে। এর দুই ধারে মাচায়ও বছরব্যাপী সবজির আবাদ করছি। এই মাঠের সবজি ও মসলা বিক্রি করে আমরা লাভবান হচ্ছি।
স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এই মাঠটিতে প্রচুর সবজি ও মসলার চাষ হয়। তারা আমাদের পরামর্শে ফাঁদ, হলুদ ট্র্যাপ ও জৈব বালাইনাশক প্রয়োগ করে পোকা দমন করছে। এতে তারা নিরাপদ ফসল উৎপাদন করতে পারছেন। নিরাপদ ফসল হওয়ায় চাহিদাও বেশি।
দেবিদ্বার উপজেলা কৃষি অফিসার বানিন রায় বলেন, ইউসুফপুর গ্রামের কৃষকরা নতুন প্রযুক্তি, নতুন ফসল ও নতুন জাত গ্রহণে খুবই আন্তরিক। এখানকার কৃষকের পরিশ্রমের ফলে মাঠে মনোরম পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামটি কৃষি বিভাগ দেবিদ্বারের সহায়তায় কৃষি উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।