লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিশ্বের শতকরা ৫০ শতাংশ লোক অনিদ্রায় ভোগেন। এ সমস্যা কাটাতে প্রাকৃতিক কিছু উপায়ে ভালো ফল পাওয়া যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, ঘরে গাছ লাগালে অন্দরসজ্জা ছাড়াও স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। এর ফলে বাতাস পরিশোধন, মনকে ভালো রাখা, মানসিক চাপ কমানোসহ দারুণ সব উপকার পাওয়া যায়। এমনকি আরামদায়ক ঘুমের ওপরও গাছপালার প্রভাব রয়েছে। এমন কিছু গাছ রয়েছে যা ভালো ঘুমে সহায়তা করে। চলুন জেনে নেই এমন পাঁচটি গাছ সম্পর্কে যা এনে দেবে প্রশান্তির ঘুম-
জেসমিন: যুক্তরাষ্ট্রের দ্য হুইলিং জেসুইট ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় জানায়, জেসমিন ঘুমের প্রাকৃতিক ওষুধ। এটি ভালোভাবে ঘুমাতে সাহায্য করাসহ মেজাজ ভালো, নিদ্রাভঙ্গের কারণে বিরক্তিভাব দূর ও দুশ্চিন্তামুক্ত রাখে।
ল্যালেন্ডার
ল্যাভেন্ডার: প্রসাধনী সামগ্রী যেমন- সাবান, পারফিউম ও শ্যাম্পুতে ল্যাভেন্ডারের ফ্লেভার দেওয়া হয়। ল্যাভেন্ডার ফ্লেভারের এয়ারফ্রেশনারও রয়েছে। এটি খুব ভালো ক্লিনজিং এজেন্ট হিসেবে পরিচিত। ল্যাভেন্ডার গাছ ইনসমোনিয়া ও দুশ্চিন্তা দূর করতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখে। গবেষকদের মতে, ল্যাভেন্ডারের গন্ধ শ্বাসনালিতে প্রবেশ করলে তা প্রাকৃতিক নিরাময়ক হিসেবে কাজ করে।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক আরোগ্যলাভের অন্যতম জনপ্রিয় একটি উপাদান। এটি ত্বকের প্রদাহ, দাগ ও পোড়া ক্ষত নিরাময় করে। একইসঙ্গে এটি শরীরকে ডেটক্সমুক্ত করে। দূষণ প্রতিরোধকারী উপাদান সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ঘরের বাতাসকে পিউরিফাইও করে।
স্ন্যাক প্ল্যান্ট
স্ন্যাক প্ল্যান্ট: ঘরে বিশুদ্ধ অক্সিজেন সরবরাহে স্নেক প্ল্যান্ট উল্লেখযোগ্য একটি নাম। সৌন্দর্য, কম খরচ ও সহজ যত্নআত্তির কথা চিন্তা করে বলা যায়, স্নেক প্ল্যান্ট আপনার শোবার ঘরের জন্য উপযুক্ত একটি গাছ। এটি রাতে অক্সিজেন ছড়ায় ও শ্বাস-প্রশ্বাসের ফলে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড শুষে নেয়। ঘরের ফর্মালডিহাইড, ট্রাইক্লোরোইথিলিন ও বেনজিন নামক টক্সিন শুষে নিয়ে বাতাসকে বিশুদ্ধ করে বলে রাতে ভালো ঘুম হয়।
ইংলিশ আইভি
ইংলিশ আইভি: নাসার তথ্যানুযায়ী, ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ করতে ইংলিশ আইভি গাছের নাম রয়েছে রয়েছে শীর্ষে। এটি বাতাসের ফর্মালডিহাইড টক্সিন শুষে নেয়। সহনীয় তাপমাত্রা ও মাঝারি সূর্যের আলোতে ইংলিশ আইভি সহজেই বেড়ে ওঠে। সেরা বেডরুম প্ল্যান্ট হিসেবে ইংলিশ আইভির কোনো জুড়ি নেই বলে বিশেষজ্ঞদের মতামত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।