জুমবাংলা ডেস্ক : পরিত্যক্ত প্লাস্টিককে সবাই অবমূল্যায়ন করলেও এবার সেই প্লাস্টিকই হয়ে উঠেছে মূল্যবান। পরিত্যক্ত প্লাস্টিক জমা দিয়েই ব্যাগভর্তি বাজার করতে পারছেন সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা। এমনকি বিনিময় পণ্য হিসেবে ব্যবহার করে তারা শীত পোশাকও নিতে পারছেন।
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে প্লাস্টিকের বিনিময়ে মিলছে চাল, ডাল, আটা, সুজি ময়দা, তেলসহ অনেক কিছু।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সেন্টমার্টিনে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ স্টোর থেকে দ্বিতীয়বারের মতো নিত্যপণ্য বিতরণ করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন দ্বীপবাসী।
বিতরণ করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে- শীতবস্ত্র, লুঙ্গি, টি শার্ট, জুতা, চাউল, ডাল, তেল, চিনি, লবণ, সবজি, লাইফ জ্যাকেট, মুরগি, ডিম, আলু, পেঁয়াজ, আটা, সুজি, নুডলস ইত্যাদি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্লাস্টিক দূষণ কমাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় দ্বীপে স্থাপন করা হয়েছে ‘প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ স্টোর’। যেখানে মানুষ তাদের ব্যবহৃত প্লাস্টিকের খালি বোতল, বিভিন্ন পণ্যের প্যাকেটের বিনিময়ে নিতে পারছেন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসমগ্রী।
সেন্টমার্টিন উত্তরপাড়ার জমিলা খাতুন (৪০) বলেন, ‘প্লাস্টিক দিয়ে চাল-ডাল নেওয়া যায় জানা ছিলো না। প্রথমবার প্লাস্টিক দিয়ে তেল, আটা, সুজি, ময়দাসহ অনেক পণ্য পাওয়ার পর অনেক খুশি লাগছে। এখন আমি প্লাস্টিক না ফেলে জমিয়ে রাখি।’
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘এ উদ্যোগটি চালু হওয়ার পর থেকে অনেক গরিব মানুষের উপকার হয়েছে। যারা কাজ না পেয়ে বেকার বসে থাকতো তারাও যত্রতত্র পড়ে থাকা প্লাস্টিক সংগ্রহের কাজে লেগে পড়েছে। এতে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে আমরা রক্ষা পাচ্ছি। পাশাপাশি অনেক পরিবারে খাদ্য, বস্ত্রের চাহিদা মিটছে। এই সুন্দর উদ্যোগটির জন্য জেলা প্রশাসন ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন প্রশংসার দাবিদার।’
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড সদস্য জামাল উদ্দিন বলেন, ‘দ্বিতীয়বারের মতো আমরা প্লাস্টিক সংগ্রহ করেছি। প্রথমবার নিত্যপণ্য পেয়ে সবার আগ্রহ বাড়ায় এবারও বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক বিনিময় হয়েছে। প্লাস্টিকগুলো আমরা জমা রেখেছি এগুলো এখান থেকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে রিসাইকেল করা হবে।’
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আবু সুফিয়ান বলেন, ‘বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি তাদের সম্পৃক্ত করে যে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে তাতে জেলা প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে। আশা করছি এ উদ্যোগের মাধ্যমে দ্বীপের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষা হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।