জয়ন্ত জোয়ার্দ্দার : ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক কিনে কেটে তা বিভিন্ন প্লাস্টিক কারখানায় বিক্রি করছেন মাগুরার প্লাস্টিকের কারবারীরা। এর ফলে প্লাস্টিকের ভয়াবহ দূষণ থেকে কিছুটা হলেও মুক্ত থাকছে এলাকা।
একইসঙ্গে এ পেশায় কর্মসংস্থা হচ্ছে কিছু মানুষের।
মাগুরা জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও গ্রাম থেকে ফেলে দেওয়া ও পুরনো প্লাস্টিকের জিনিস কেজি দরে কিনে আনেন ছোট ব্যবসায়ীরা। তারা সেগুলো কাশিনাথপুর প্লাস্টিক কাটিং সেন্টারে বিক্রি করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মাগুরা ঝিনাইদহ সড়কের কাশিনাথপুরে গড়ে ওঠা কাটিং সেন্টার ঘুরে দেখা যায় শ্রমিকদের কর্মব্যস্ততা। প্রতিদিন সেখানে ১৫ জন শ্রমিক কাজ করে থাকেন। তাদের মজুরি ২৫০ টাকা থেকে ৭শ টাকা পর্যন্ত।
পঞ্চাশোর্ধ্ব হালিমা বেগম এই কাটিং সেন্টারে শ্রমিকের কাজ করে দিনে মজুরি পান মাত্র ৩০০ টাকা। তিনি প্লাস্টিক গ্রেডিং এর কাজ করেন। তার মতো অনেক নারী এই কাটিং সেন্টারে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন।
এখানে শ্রমিকের কাজ করেন নুরজাহান বেগম নামে এক নারী। তিনি বলেন, এখানে আমারা প্লাস্টিক বাছাই করা, মেশিনে দিয়ে কাটিং করাসহ নানা ধরনের কাজ করি। এই কারখানায় কাজ করে আমাদের সংসার ভালো চলছে।
শরিফুল ইসলাম নামের এক শ্রমিক বলেন, মাগুরা জেলার বিভিন্ন গ্রাম হাট বাজার থেকে কেজি দরে পুরাতন প্লাস্টিকের জিনিস কেনা হয়। বিশেষ করে ঝিনাইদহ, আড়পাড়া, সীমাখালী, শ্রীপুর, খামার পাড়া, গাংনালিয়া, শীকোল, জোকা, নতুন বাজার, জগদল, ওয়াবদা বাজার এলাকা থেকে এখানে পুরান প্লাস্টিক সামগ্রি আসে। এখানে গ্রেডিং করে তা মেশিনের মাধ্যমে কাটিং করা হয়। পরে তা বস্তা ভর্তি করে ট্রাকে করে ঢাকায় পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, কাটিং প্লাস্টিক ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি হয়। এই ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক দিয়ে চেয়ার টেবিল, বোতল, পানির পট, মুরগীর পানির টব বিভিন্ন প্রকার প্লাস্টিক সামগ্রী নতুন করে তৈরি করা হয়। এখানে কাজ করে আমরা ১৫ জন শ্রমিক ভালোভাবে সংসার চালাতি পারছি।
মাগুরা কাশিনাথাপুর ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক কারখানার মালিক ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমার এই প্লাস্টিক কাটিং সেন্টারে বর্তমানে ১৫ জন শ্রমিক কাজ করেছেন। এখানে মূলত প্লাস্টিক কাটিং করা হয়। তারপর বস্তা ভরে ঢাকায় ইসলামবাগে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বিক্রয় করা হয়। প্লাস্টিক বোতল কেনা হয় ১২শ’ টাকা মন। তাছাড়া বিভিন্ন প্রকার প্লাস্টিক সামগ্রী ১৮শ’ টাকা দরেও কেনা হয়।
তিনি আরও বলেন, মাগুরা জেলায় ছোট বড় প্রায় ১১টি কাটিং সেন্টার রয়েছে। এই কাটিং সেন্টারগুলো পুরনো প্লাস্টিক সংগ্রহের মাধ্যমে এলাকার পরিবেশ দূষণ রোধ করার কাজ করছে। তিনি মনে করেন, সরকারের উচিত তাদের সহায়তা করা। সূত্র : বাংলানিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।