আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চলতি বছর বিশ্ববাজারে প্লাটিনামের ঘাটতি পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি হবে বলে জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড প্লাটিনাম ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিল (ডব্লিউপিআইসি)। সংস্থাটি বলছে, সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা ও রাশিয়ার খনি থেকে ধাতব পণ্যটির উত্তোলন কমে গেছে। আগামীতে উত্তোলনের পরিমাণ আরো কমে যেতে পারে। ফলে এ বছর এর ঘাটতি পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি হবে। খবর মাইনিং ডটকম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে প্লাটিনামের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১৪ হাজার ট্রয় আউন্সে। এর আগে ঘাটতির পরিমাণ ৩ লাখ ৫৩ হাজার আউন্স হতে পারে বলে ধারণা করেছিল ডব্লিউপিআইসি। ২০২৩ সালে ধাতবপণ্যটির ঘাটতি ছিল ৮ লাখ ৭৮ হাজার আউন্স।
২০২৩ সালের রেকর্ডের পর প্লাটিনামের চাহিদা ক্রমাগত কমে যাচ্ছে। চলতি বছর চাহিদা ৬ শতাংশ কমে ৭৫ লাখ ৭ হাজার আউন্সে নেমে যেতে পারে। তবে গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলো ক্যাটালাইটিক কনভার্টারে প্যালাডিয়ামের পরিবর্তে প্লাটিনাম ব্যবহার করছেন। ফলে সার্বিক চাহিদা কমলেও অটোমোবাইল খাতে এর চাহিদা ১ শতাংশ বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ডব্লিউপিআইসি।
দক্ষিণ আফ্রিকা ও রাশিয়ার খনিগুলোয় উত্তোলন কমে যাওয়ায় খনি থেকে প্লাটিনামের সরবরাহ ৩ শতাংশ কমে যাবে। এর প্রভাবে বৈশ্বিক মোট সরবরাহও ১ শতাংশ কমে যাবে। তবে ৭ শতাংশ রিসাইকেল করা প্লাটিনাম সরবরাহ কিছুটা বাড়াতে সাহায্য করবে। এদিকে ঘাটতি মেটাতে প্লাটিনামের ভূ-উপরস্থ মজুদ ১০ শতাংশ কমে যাবে। ২০২৩ সালে ১৮ শতাংশ মজুদ কমে ৩৫ লক্ষ ৫১ হাজার আউন্সে গিয়ে দাঁড়ায়, যা ছিল চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
চাহিদা ও সরবরাহের সঙ্গে দামও কমেছে প্লাটিনামের। ২০২৩ সালে ধাতবপণ্যটির দাম ৮ শতাংশ কমে গিয়েছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত ১১ শতাংশ কমেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।