লাইফস্টাইল ডেস্ক: মাসিক আয় যেমন সবার সমান নয়, ঠিক তেমনি টাকা-পয়সা খরচ করার ব্যাপারেও সবাই সমান নন। কেউ কেউ অতিরিক্ত খরচ করেন, এতো সাতপাঁচ ভাবেন না। আবার কেউ কেউ বেশ মিতব্যয়ী। খুব হিসাব করে খরচ করেন।
দেখা যায়, যারা খুব দ্রুত টাকা-পয়সা খরচ করে ফেলেন, মাসের শেষ আসতে না আসতেই পকেটে টানাটানি পড়ে যাওয়া তাদের কাছে নতুন কিছু নয়। কেউ কেউ আবার অল্প বেতনেই সংসার চালাতে বাধ্য হন। তবে খরচের হাত মানেই কিন্তু সব সময় অপব্যয় করার কথা বলা হচ্ছে না। অনেক সময়ে বাজে খরচ না করার পরেও টাকা শেষ হয়ে যায়। তাই রইল এমন পাঁচটি টোটকা যা মেনে চললে মাস শেষ হওয়ার আগেই পকেট ফাঁকা হওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে-
বাইরের খাবারকে না বলুন
বাইরের খাবার কিনে খাওয়ায় যে কত দ্রুত কত বেশি টাকা খরচ হয়ে যায়, তা বোঝা যায় না সহজে। বিশেষত যখন মোবাইলের একটি স্পর্শেই প্রিয় রেস্তরাঁ থেকে বাড়ির দরজায় হাজির হয়ে যায় খাবার তখন তো আরোই বেড়ে যায় এই খরচ। তার উপর মাঝেমধ্যেই থাকে নানা রকম ছাড়ের প্রলোভন। মাসে কয়েকটি দিন নির্দিষ্ট করুন বাইরের খাবারের জন্য। অতিথি এলেও বাইরের থেকে খাবার আনার বদলে বাড়িতেই খাবার বানিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন।
ছাড়তে হবে ছাড়ে বাজার করার অভ্যাস
বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করার জন্য হরেক রকমের ছাড় দিয়ে থাকে। কিন্তু এই ধরনের ছাড়ের ফাঁদে পা দেওয়া চলবে না একেবারেই। অনলাইন কেনাকাটার যুগে নিত্যনতুন ছাড়ের টান উপেক্ষা করা সহজ নয়। কিন্তু এই ধরনের কেনাকাটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেলে আত্মনিয়ন্ত্রণ হয়ে ওঠে কঠিন।
সহজে নয় ক্রেডিট কার্ড
ক্রেডিট কার্ড অনেকের কাছেই অতি প্রয়োজনীয় একটি বস্তু। কিন্তু প্রয়োজন ছাড়া এই কার্ড ব্যবহার করা অভ্যাস খারাপ করে দিতে পারে। মুক্তি খোঁজার চেষ্টা করুন ক্রেডিট কার্ড থেকে। এটি প্রয়োজনের জিনিস হলেও ক্রেডিট কার্ডের বদলে সরাসরি টাকা খরচ করে কিছু কিনলে খামখেয়ালি কেনাকাটা কিছুটা হলেও কমে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
ভ্রমণ হোক পরিকল্পনা মাফিক
বেড়াতে যাওয়া মানেই খরচ। কিন্তু তাই বলে ভ্রমণকে উপেক্ষা করা বাঙালির পক্ষে অসম্ভব। তাছাড়া জীবনের একঘেয়েমি দূর করতে ভ্রমণের প্রয়োজনও রয়েছে। বরং বেড়াতে যাওয়ার আগে একটু ছক কষে নিন। যারা বেড়াতে যেতে ভালোবাসেন, তারা একটানা খরচসাপেক্ষ ভ্রমণ না করে কাছাকাছি ঘুরে আসার চেষ্টা করতে পারেন। এতে টাকাও বাঁচবে, আবার কাটবে একঘেয়েমির সমস্যাও।
বিনোদনমূলক অনলাইন মাধ্যমগুলো থেকে বেরিয়ে আসুন। একাধিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে এসে চেষ্টা করুন সেগুলো বন্ধু কিংবা আত্মীয়দের সঙ্গে ভাগ করে নিতে। যেগুলো সচরাচর দেখা হয় না, সে ওটিটিগুলোতে আর টাকা না দিয়ে সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।