জুমবাংলা ডেস্ক : শ্রীমঙ্গলের প্রসিদ্ধ হাইল-হাওরে পদ্মফুল ফুটতে শুরু করেছে। গত মধ্য মার্চ থেকে হাইল-হাওরে পদ্মফুল ফুটতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক ও কৃষক আব্দুল মজিদ। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে হাইল-হাওরের বিস্তৃর্ণ এলাকাজুড়ে পদ্মফুল ফুটবে। লাল আর সাদা পদ্মশোভিত অপরুপ দৃশ্য সহজেই মন কাঁড়ে পর্যটক-দর্শনার্থীদের। চলে সেলফি তোলার প্রতিযোগীতাও। এ মনোলোভা দৃশ্য সহজেই মন-প্রাণ ভরে ওঠে আগত দর্শনার্থীদের। পদ্মশোভিত এ দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ভিড় জমে।
বেসরকারি সংস্থা সিএনআরএস-এর প্রতিবেশ প্রকল্পের সাইট অফিসার মনিরুজ্জামান চৌধুরী জানান, ১৯৯৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সাহায্যসংস্থা ইউএসএআইডি’র সহায়তাপুষ্ট ‘ম্যানেজমেন্ট অব এ্যাকুয়াটিক ইকোসিস্টেম থ্রো কমিউনিটি হাজবেন্ড্রি’ (মাচ) প্রকল্প শ্রীমঙ্গলের হাইল-হাওরে জীববৈচিত্র্য রক্ষার কার্যক্রম শুরু করার পর পাল্টে যায় এখানকার দৃশ্যপট। পর্যায়ক্রমে হাইল-হাওরে জীববৈচিত্র্য রক্ষার কাজে নিয়োজিত ছিল বেসরকারি সংস্থা ‘আইপ্যাক’ এবং ‘ক্রেল’। বর্তমানে কাজ করছে বেসরকারি সংস্থা ‘প্রতিবেশ’।
স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বড়গাঙিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠন সুত্র জানায়, হাইল-হাওরে স্বচ্ছ টলটলে পানিতে অনেক নীচ পর্যন্ত জলজ লতাগুল্ম দেখা যায়। আর জলের ওপর ফুটে থাকে অসংখ্য পদ্মফুল। এছাড়াও পানি সিংড়া, শালুক, পদ্মটুনা, পাখি, মাছ, বৃক্ষসহ ১০১ প্রজাতির জলজ উদ্ভিদ রয়েছে এ হাওরে।
সুত্র জানায়, পদ্মটুনা আহরন ও বিক্রি করে হাওরপাড়ের অনেক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। পদ্মটুনা দেখতে হালকা সবুজ।ফলগুলো পুর্নাঙ্গ হলে হলুদ বর্ন ধারন করে। ফলের ধারক পেস্ট কালারের হয়। বীজগুলো চক্রাকারে সাজানো থাকে। আকৃতি গোলাকার। সবার কাছে সমাদৃত পদ্মটুনা বীজ খেতে সুস্বাদু।
উইকিপিডিয়া’র মতে, বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি প্রাকৃতিক জলাধার হাওর-বাঁওড়, খালে-বিলে ও ঝিলের পানিতে পদ্মফুল ফুটতে দেখা যায়। বর্ষা মৌসুমে ফুল ফোটা শুরু হয়। তবে শরতে অধিক পরিমাণে ফুল ফোটে এবং এর ব্যপ্তি থাকে হেমন্তকাল অবধি। ফুটন্ত ফুলের বাহারি রূপ দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। যে রূপের মায়ায় মুগ্ধ হয়ে শরৎ ঋতুর পদ্মফুলকে নিয়ে অনেক কবি তার কাব্যের উপমায় পদ্মফুলের রঙ রূপকে তুলে ধরেছেন ভিন্ন ভিন্ন ভাবে। সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষজনের কাছে অতি প্রিয় ও পবিত্র ফুল পদ্ম।
বিশেষ করে দুর্গা পূজাতে পদ্মফুলের রয়েছে বেশ চাহিদা ও কদর। ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে পদ্মফুল সংগ্রহ ও বিক্রয় করে অনেক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন। তাছাড়া পদ্মফুল ভেষজগুণসমৃদ্ধ ফুল গাছ। এর ডাটা সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। মানব দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে অতুলনীয়। চুলকানি ও রক্ত আমাশয় নিরাময়ে বেশ উপকারী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।