গত জুনে আইপিএলের শিরোপা জিতে আনন্দ উল্লাসে মাতে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এই আনন্দ ভক্তদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে গিয়ে চরম বিপদ ঘটিয়ে বসে চ্যাম্পিয়ন দলটি। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে ট্রফি প্যারেডে পদদলিত হয়ে মারা যান ১১ জন। আহত হন অর্ধশতাধিক।
এই ঘটনায় বিরাট কোহলির ভিডিওকে দায়ী করলেন কর্নাটক সরকার। শুধু তাই নয়, ফ্র্যাঞ্চাইজিটি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের আদেশ অমান্য করা হয়, স্থানীয় পুলিশও নিজেদের দায়িত্বে অবহেলা করেছে বলে আদালতের কাছে রিপোর্ট প্রদান করে কর্নাটক সরকার।
আয়োজক ডিএনএ এন্টারটেনমেন্ট, কর্নাটক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা এবং আরসিবির মধ্যে যোগাযোগের অভাবকে দায়ী করা হয়েছে হাইকোর্টে জমা দেয়া রিপোর্টে।
শিরোপা জয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরাটের একটি ভিডিওতে তিনি সমর্থকদের এই ট্রফি প্যারেডে অংশ নিতে আহ্বান জানান। যা ভক্তদের সেখানে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
আরসিবি কর্তৃপক্ষ, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ডিএনএ এন্টারটেইনমেন্ট নেটওয়ার্কস ও কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট এ ধরনের জনসমাগমের জন্য যথেষ্ট পরিকল্পনার কথা ব্যাখ্যা করতে না পারলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দলটিকে শহর প্রদক্ষিণ ও স্টেডিয়ামে উদযাপনের অনুমতি না দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানায়।
সে সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ট্রফি প্যারেড করে আরসিবি। আর সেখানেই সমর্থকের উপচে পড়া ভিড় সামাল দিতে না পারায় লাঠি চার্জ করে পুলিশ।
কর্নাটক সরকার যুক্তি হিসেবে আরও উল্লেখ করে স্টেডিয়ামের গেট খোলা হয়েছিল দেরি করে। যে কারণে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানে। ওই ঘটনার পর আইপিএস বিকাশ কুমারকে বরখাস্ত করেছিল কর্নাটক সরকার।
এই মামলায় শুনানির সময় হাইকোর্ট সব পক্ষের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাইবেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ইতিমধ্যেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।