আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাস্টিন ট্রুডো, উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডার প্রধানমন্ত্রী। বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে ২০১৫ সালে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি। তবে বিভিন্ন কারণে ভাটা পড়েছে সেই জনপ্রিয়তায়।

সম্প্রতি বেশ কয়েকটি জরিপে দেখা গেছে, ট্রুডোর সমর্থন কমছে। গত কয়েক বছর ধরেই তার প্রতি সাধারণ মানুষের অনাগ্রহ। অপরদিকে সমর্থন বাড়ছে বিরোধী দলগুলোর প্রতি।
এমতাবস্থায় বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডোকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি দলীয় প্রধানের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করবেন কি না?
জবাবে ট্রুডো বলেন, “আগামী নির্বাচন আরও দুই বছর দূরে। আমি আমার কাজ করে যাচ্ছি। এই কঠিন সময়ে কানাডিয়ানদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা বাকি রয়ে গেছে। আর আমি এই কাজ করার ক্ষেত্রে উদ্যমী ও নিরলস রয়েছি।”
২০১৫ সালে ট্রুডোর নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসে লিবারেল পার্টি। এরমাধ্যমে কনজারভেটিভ নেতৃত্বাধীন সরকারের এক যুগেরও বেশি সময়ের শাসনের অবসান হয়। তবে মুদ্রাস্ফীতি, বাসস্থানের উচ্চমূল্য এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে তার জনপ্রিয়তা অনেক কমে গেছে।
চলতি বছরের আগস্টের শেষ দিকে অ্যাবাকাস ডাটা পোলসের জরিপে ৫৬ শতাংশ কানাডিয়ান মতামত দিয়েছিলেন ট্রুডোর পদত্যাগ এবং অন্য কাউকে দলের নেতৃত্ব দেওয়া উচিত। তবে এই জরিপে অংশ নেওয়া ২৭ শতাংশ ট্রুডোর পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
এ মাসে কানাডার গবেষণা সংস্থা আঙ্গুস রেইড ইনস্টিটিউটের জরিপে উঠে এসেছে, ৬৩ শতাংশ মানুষ আর ট্রডোকে দলের নেতৃত্বে অর্থাৎ আগামী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



