জুমবাংলা ডেস্ক : পহেলা বৈশাখ মানেই ঢাকায় রমনা, চট্টগ্রামে ডিসি হিল, রাজশাহীতে পদ্মার পাড়ে বৈশাখী আনন্দ। কিন্তু দেশের বাইরে, যেখানে কোটি বাংলাদেশি রয়েছেন—সেখানে কেমন কাটে এই নববর্ষ? ‘ঘরের বাইরের বাংলাদেশ’-এর কাছে পহেলা বৈশাখ মানে ঠিক কী?
Table of Contents
প্রবাসে বৈশাখ: নস্টালজিয়া, সংগঠন আর রঙিন দুপুর
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে শুরু করে লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল, টরন্টোর ড্যানফোর্থ কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের রিয়াদ—বাংলাদেশি প্রবাসীরা গড়ছেন ছোট ছোট বৈশাখী মেলা। পান্তা-ইলিশ, নকশিকাঁথা, পিঠা উৎসব আর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা দিয়ে স্মরণ করছেন শেকড়ের টান।
যাদের কাছে বৈশাখ মানেই ভিডিও কলে মায়ের মুখ
সব প্রবাসীর পক্ষে মেলায় যাওয়া সম্ভব হয় না। কেউ হয়তো নাইট শিফট করে, কেউ বিদেশি পরিবারের গৃহকর্মী, কেউবা নির্মাণশ্রমিক। বৈশাখ তাদের কাছে একদম আলাদা এক অনুভূতি—যেখানে স্মৃতির সঙ্গে মিশে থাকে ভিডিও কলে মায়ের রান্নাঘরের শব্দ, বা ছেলেমেয়ের স্কুলে পহেলা বৈশাখের সাজ।
সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর অবদান
বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন, বাংলা স্কুল বা প্রবাসী ক্লাবগুলো পহেলা বৈশাখ উদযাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তারা শিশুদের মধ্যে বাংলা গান শেখায়, কবিতা আবৃত্তি করায়, এবং গ্রামীণ বাংলাদেশের গল্প বলায়। এতে প্রবাসে বেড়ে ওঠা প্রজন্মের মাঝে শিকড়ের টান কিছুটা হলেও বাঁচিয়ে রাখা যায়।
প্রবাসে বৈশাখের মানে ভিন্ন, কিন্তু ভালোবাসায় ভরা
দেশে যেমন বৈশাখ মানে বিশাল আয়োজন, প্রবাসে তেমন সুযোগ নেই। কিন্তু ভালোবাসার অভাব নেই। যতটুকু সময়, যতটুকু সামর্থ্য—ততটুকু দিয়েই বৈশাখকে জীবন্ত রাখছেন প্রবাসীরা। এটাই তো বাংলা সংস্কৃতির বড় শক্তি—চাইলেই দূরত্ব মুছে যেতে পারে না।
প্রবাসীদের চোখে পহেলা বৈশাখ হয়তো ঘরছাড়া এক ভালোবাসা, কিন্তু তা হৃদয়ের গভীরতম জায়গায় টিকে থাকে বছরের পর বছর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।