আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সেতুর নীচে তখন পুলিশ। পথচলতি মানুষের ভিড় থমকে গিয়েছে। ভিড়ের মধ্যে থেকে চিৎকার করে যুবককে বার বার বলা হচ্ছিল, ‘ঝাঁপ দেবেন না। নেমে আসুন!’
প্রায় ৪০ ফুট উঁচু একটি সেতুর রেলিং টপকে সেতুরই একটি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে এক যুবক ঝাঁপ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেতুর নীচে তখন পুলিশ। পথচলতি মানুষের ভিড় থমকে গিয়েছে। ভিড়ের মধ্যে থেকে চিৎকার করে যুবককে বার বার বলা হচ্ছিল, ‘ঝাঁপ দেবেন না। নেমে আসুন দয়া করে!’
সেতুর কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকা যুবক তখন দূরত্ব মেপে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আর পুলিশ তাঁকে ধরার জন্য নীচে ওৎ পেতে রয়েছে। কী ভাবে পুলিশের হাত থেকে বাঁচবেন, ঝাঁপ দেবেন কী, দেবেন না, এমন একটা দোলাচলের মধ্যেই সটান ঝাঁপ দিয়ে পড়লেন উল্টো দিকের একটি দোকানের ছাদে।
পুলিশও তাঁকে ধরার জন্য সেই দোকানের দিকে ছুটল। তার পর দুই পুলিশকর্মীকে একটি লোহার গেট টপকে ঢুকতে দেখা গেল। তার পরই ভিডিয়োটি শেষ হয়ে যায়।
ঘটনাটি আমেরিকার ব্রুকলিনের। নিউ ইয়র্ক পোস্ট-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই যুবকের নাম কেন্ডাল ফ্লয়েড। অভিযোগ, সিটবেল্ট না বেঁধে এবং ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করে গাড়ি চালাচ্ছিলেন ফ্লয়েড। চোখে পড়তেই তাঁকে তাড়া করে পুলিশ।
কিন্তু তিনি আত্মসমর্পণ না করে পুলিশের হাত থেকে পালাতে সেতুতে উঠে পড়েন। এবং সেখান থেকে উল্টো দিকের একটি দোকানের ছাদে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি। কিছু ক্ষণ পরেই ধরা পড়ে যান তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, ফ্লয়েডের পায়ে আঘাত লেগেছে। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলা, বেপরোয়া গাড়ি চালানো, দুর্ব্যবহার-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।