আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাটির নিচে ড্রেনে ৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় কাটানোর পর এক অস্ট্রেলীয় মুক্তি পেয়েছেন। ৩৮ বছর বয়সী এই ব্যক্তি মূলত কর্তৃপক্ষকে বলেছিলেন, তিনি ‘তাঁর ফোন পুনরুদ্ধার করতে’ ব্রিসবেনের ড্রেনে প্রবেশ করেছিলেন।
অন্যদিকে কুইন্সল্যান্ড পুলিশ বলেছে, রবিবার ওই ব্যক্তির গাড়ি তাদের একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার পর তিনি সেখানে ‘পালিয়ে ছিলেন’।
একজন পথচারী কর্তৃপক্ষকে ফোন করে জানান ভূগর্ভে কেউ ‘আটকে’ আছে।
এর পরই ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। তিনি সামান্য আঘাত পেয়েছিলেন ও তাঁর তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছিল। উদ্ধারের পর তাঁকে চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ফায়ারফাইটাররা ড্রেনের ঢাকনা তুলে লোকটিকে হাঁটু-গভীর পানিতে দেখতে পান।
সেখান থেকে তাঁকে বাইরে বের করে আনা হয়। এ উদ্ধার অভিযানে প্রায় পাঁচ মিনিট সময় লেগেছে বলে কুইন্সল্যান্ড ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিসের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা জেমস লিংউড কর্তৃপক্ষকে ফোন করেছিলেন। তিনি কুরিয়ার মেইলপত্রিকাকে জানান, ‘এক ধরণের চিৎকার’ শোনার পর তিনি রবিবার ওই লোকটির সঙ্গে প্রথমবার মুখোমুখি হন।
তিনি ঠিক আছেন বলে মনে হয়েছিল। ওই ব্যক্তি জেমসকে বলেছিলেন, তিনি ড্রেন থেকে বেরিয়ে যেতে পারবেন। তাই জেমস তাঁকে একা রেখে চলে যান। পরে সোমবার যখন জেমস একই জায়গায় ফিরে গেলে বুঝতে পারেন, ভেতরে কেউ বিপদে পড়েছেন।
পুলিশ মঙ্গলবার বলেছে, লোকটি ‘সন্দেহজনকভাবে’ গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
স্থানীয় সময় রবিবার ভোর ৪টা ২০ মিনিটের দিকে পুলিশের গাড়িকে তিনি আঘাত করেন। এতে উভয় গাড়িরই ক্ষতি হয়েছিল। তবে কোনো পুলিশ সদস্য আহত হননি। তারপর ওই ব্যক্তি দ্রুত গতিতে চলে যান। এ সময় অন্য গাড়ির চালক ‘সামান্য আঘাত’ পান। কিছু মুহূর্ত পর সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি আচমকা গাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন এবং পায়ে হেঁটে পালিয়ে যান। পুলিশ বলছে, লোকটির অবস্থা এখন স্থিতিশীল এবং তিনি জিজ্ঞাসাবাদে সহায়তা করছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।