আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পিঠে খাবার সরবরাহের ব্যাগ। জোরে জোরে প্যাডেল করছেন ২২ বছরের তরুণ। গ্রাহকের বাড়িতে সময় মতো খাবার পৌঁছে দেওয়ার তাড়া রয়েছে তার। অন্যথায় বিপদ।
ঘেমেনেয়ে একাকার হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্যাডেল থামাননি। তাই প্যাডেলে পা যেন আরো জোরে জোরে পড়ছিল।
তরুণকে দেখে বড্ড মায়া হয়েছিল ভারতের মধ্যপ্রদেশের বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা তেহজিব কাজিরের। সোমবার রাতে রাস্তায় টহল দেওয়ার সময় ওই তরুণকে দেখেন তিনি। ঘামে ভেজা তরুণকে কৌতূহলবশত দাঁড় করান তিনি। জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন তার নাম জয় হালদে।
সংসারের ভার তারই কাঁধে। পরিবারে আর্থিক অভাব। সে কারণেই এই কাজ খুঁজে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু গ্রাহকের কাছে সময় মতো খাবার পৌঁছাতে গেলে তো আরো গতির প্রয়োজন! সাইকেলে করে সেই সময়ে পৌঁছতে পারেন?
প্রশ্নটা শুনে মলিন মুখে একটু হাসির রেখা ফুটে ওঠে জয়ের। তিনি বলেন, সংসার টানতেই সব টাকা খরচ হয়ে যায়। তার পরে বাইক কেনার স্বপ্ন তো কল্পনাও করা যায় না।
জয়ের কথাগুলো গেঁথে গিয়েছিল কাজির মনে। তার পর স্থির করেন জয়কে একটি বাইক কিনে দেবেন। এর পর তিনি নিজে এবং সহকর্মীদের আর্থিক সহযোগিতায় একটি বাইক কিনে দেন জয়কে।
থানায় ডেকে সেই বাইক তুলেও দেন জয়ের হাতে। বাইক পেয়ে জয়ের মলিন মুখের হাসিটা যেন আরো চওড়া হয়ে যায়। আগে যেখানে দিনে ৫-৬ প্যাকেট খাবার সরবরাহ করতেন, এখন ১৫-২০ প্যাকেট খাবার সরবরাহ করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন জয়। সেই সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা কাজি এবং তাঁর সহকর্মীদের কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন তিনি।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
‘ম্যাকডোনাল্ডস’-এ প্রেমিকাকে হাঁটু গেড়ে বিয়ের প্রস্তাব, নাকচ সবার সামনেই
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।