জুমবাংলা ডেস্ক : পুলিশকে উদ্দেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘ছাত্র এবং পুলিশের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। আপনারা আপনাদের কাজে ফিরে আসুন। কাজ করতে গিয়ে কোনো সমস্যা হলে আমরা আপনাদের সহযোগিতা করবো।’
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খাগড়াছড়ি টাউন হল মিলনায়তনে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন তিনি। গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণা শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত এবং দুনীতি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র নাগরিকদের এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালালেও তার প্রেতাত্মারা এখনো বসে নেই। ফ্যাসিবাদের দোসররা যেকোনো সময় মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তারা বিভিন্ন রূপে আমাদের মাঝে এসে বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করবে। তাদের বিষয়ে বিপ্লবের নায়ক ছাত্র-জনতাকে সজাগ থাকতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে আর ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিতে পারবে না।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ছাত্র-জনতাই ক্ষমতায় এনেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন, বিচারব্যবস্থা, পার্লামেন্ট, সংবিধান সংশোধন না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় থাকুক।
সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, শাসকরা চায় না দেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা থাকুক। গত ১৬ বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। শাসকরা জাতির মধ্যে বিভেদ সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে তাদের ব্যস্ত করে রেখেছিল। কিন্তু আমরা বাংলাদেশিরা দেখিয়ে দিয়েছি যে, আর আমাদের মধ্যে কোনো ধরনের বিভেদ, বিভেদের ট্যাবলেট আমাদের দ্বিধাবিভক্ত করতে পারবে না।
যারা ক্ষমতা যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর রয়েছেন, তাদেরকে খাগড়াছড়ি থেকে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট গণভবন, সংসদ ভবনের ছবিটা একটু মনে রাখবেন।
সোমবার বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুরু হয় বিকেল সাড়ে ৫টার পর। স্লোগানে স্লোগানে সংগঠক ও তাদের সফরকারীদের স্বাগত জানানো হলেও মঞ্চে বসা নিয়ে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী সদস্য এবং পুলিশ এসে অনুষ্ঠান স্থলে অবস্থান নিলে সংগঠক বক্তব্য শুরু করেন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফিসহ চট্টগ্রাম ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।