জুমবাংলা ডেস্ক : পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) সাম্প্রতিক ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি নিয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) যে অবস্থান গ্রহণ করেছে, তা দেশজুড়ে বিদ্যুৎখাত সংশ্লিষ্টদের মধ্যে জোর আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই কর্মসূচিকে তারা অযৌক্তিক ও শৃঙ্খলা বিরোধী বলেছে। তাদের বক্তব্য অনুসারে, সরকারিভাবে চলমান সংস্কারমূলক উদ্যোগে সমর্থন না দিয়ে শৃঙ্খলাহীন আন্দোলনের মাধ্যমে জনজীবনে ভোগান্তি তৈরি করাটা রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে।
Table of Contents
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড: বর্তমান অবস্থান ও নীতিগত দিকনির্দেশনা
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলন শৃঙ্খলাহীন এবং অকার্যকর। তারা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায় যে, মাসিক মতবিনিময় সভার মাধ্যমে পবিস কর্মকর্তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো সমাধান করার উদ্যোগ আগে থেকেই চলমান। এছাড়া, সরকার যে অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়নের কাজ হাতে নিয়েছে, তা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের একক সিদ্ধান্ত নয় বরং এটি একটি রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণী বিষয়।
সংস্থাটি দাবি করেছে, তারা প্রতিনিয়ত মাঠ পর্যায়ে গিয়ে সমিতিগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছে এবং যৌক্তিক সুবিধা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট রয়েছে। এর ফলে পবিস-এর মধ্যে শৃঙ্খলা, প্রণোদনা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অংশে দেশের অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক নীতিমালা সম্পর্কিত অন্যান্য প্রতিবেদন পাঠকদের জন্য প্রাসঙ্গিক হতে পারে।
‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির প্রতিক্রিয়া ও সরকারি প্রতিক্রম
পবিস-এর কিছু কর্মচারী সরকারী সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কর্মবিরতি পালন করে। ফলাফলস্বরূপ, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্ল্যাকআউটের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এতে জনসাধারণ মারাত্মক দুর্ভোগে পড়ে এবং নেত্রকোনায় একজন রোগীর মৃত্যু ঘটে বলে দাবি করা হয়। বিআরইবি এই ঘটনাকে রাষ্ট্রদ্রোহী কর্ম হিসেবে অভিহিত করে।
সরকার ইতিমধ্যেই এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে। তারা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে যে, রাষ্ট্রীয় সংস্কারকালে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা সৃষ্টি করার কোন প্রয়াস সহ্য করা হবে না। এখানে সংশ্লিষ্টদের জন্য সরকারি ওয়েবসাইট অনুসন্ধান করা যেতে পারে ভবিষ্যৎ নীতিমালা জানার জন্য।
বিদ্যুৎ খাতে শৃঙ্খলা ও প্রশাসনিক সংস্কারের প্রভাব
দেশের উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎ খাতে শৃঙ্খলা ও দক্ষতা অপরিহার্য। বিআরইবি’র বক্তব্য অনুসারে, চলমান সংস্কার কার্যক্রম দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ। কর্মকর্তাদের বেতন কাঠামো, কাজের পরিবেশ এবং ক্যারিয়ার গ্রোথের সুযোগ বৃদ্ধি নিয়ে সরকার আন্তরিক। কিন্তু এ ধরনের আন্দোলন সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করছে।
এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন ওঠে, সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে সমন্বয় রক্ষা করবে? এ প্রশ্নের উত্তর ভবিষ্যৎ সময়ে সরকারী নীতিতে প্রতিফলিত হবে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যুৎ পরিষেবার অবিচ্ছিন্নতা বজায় রাখা জনগণের নিরাপত্তা ও কল্যাণের জন্য অপরিহার্য।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড দেশের বিদ্যুৎ খাতে শৃঙ্খলা রক্ষায় এবং আধুনিকায়নের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের পথে অগ্রসর হতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় জনগণের সহযোগিতা এবং কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা অপরিহার্য।
সচরাচর জিজ্ঞাসা (FAQs)
- বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কি? এটি একটি সরকারি সংস্থা যা দেশের গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে।
- পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও বিআরইবি এর মধ্যে সম্পর্ক কেমন? পবিস একটি স্বতন্ত্র কিন্তু বিআরইবি-এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা।
- ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির উদ্দেশ্য কী? কিছু পবিস কর্মকর্তা তাদের দাবির পক্ষে কর্মসূচি নিয়েছিলো, তবে তা বিআরইবি অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছে।
- এই আন্দোলনের কারণে কি বিদ্যুৎ সেবা ব্যাহত হয়েছে? হ্যাঁ, কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সেবা বিঘ্নিত হয়, এমনকি একাধিক হাসপাতাল সমস্যায় পড়ে।
- সরকার কী ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে? সরকার শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে তদন্ত করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।