বিনোদন ডেস্ক : বলিউড তারকা কবীর বেদীর মেয়ে পূজা বেদী ৫৫ বছরে পা দিলেন। অভিনয় তো বটেই তাছাড়াও পূজার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। পূজা বেদীর প্রেমের জীবন ছিল দারুণ রঙিন। তার বাবা-মা কবীর এবং প্রতিমার সম্পর্ক ছিল খোলা খাতার মতো, তাছাড়াও কবীর একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন। আর তেমন ভাবেই পূজার জীবনে এসেছে একাধিক প্রেম। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
পূজা বেদীর প্রথম হাইপ্রোফাইল সম্পর্ক ছিল অভিনেতা, প্রযোজক এবং গায়ক আদিত্য পাঞ্চোলির সঙ্গে। জরিনা ওয়াহাবের সঙ্গে আদিত্যের সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হলে পূজার সঙ্গে তার সম্পর্ক গভীরতা পায়। কিন্তু পূজার পরিচারিকার সঙ্গে আদিত্যর কেলেঙ্কারির তাদের সম্পর্কে ইতি পড়ে।
পূজা তার প্রথম স্বামী, ফারহান ফার্নিচারওয়ালাকে ১৯৯৪ সালে বিয়ে করেছিলেন। প্রেমে পড়ে পূজা বিয়ে করেছিলেন ফারহানকে। ফারহানের জন্য ধর্মও পরিবর্তন করেছিলেন তিনি। তখন পূজার নাম হয়েছিল নুরজাহান। তারা আলায়া এবং ওমর নামে দুই সন্তানেরও জন্ম দেন। তাদের বিয়ের ১২ বছর পর তাদের বিচ্ছেদ হয়।
পূজা আবারও ‘নাচ বলিয়ে ৩’-এর সেটে তার কোরিওগ্রাফার হানিফ হিলালের প্রেমে পড়েন। তবে এ সম্পর্ক খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। পূজা এবং হানিফ ২০০৮ সালে আলাদা হয়ে যান।
পূজা দ্বিতির প্রেমে পড়েছিলেন। ১৮ মাস ধরে তারা একসঙ্গে ছিলেন, তাদের মধ্যে খুব প্রেমে ছিল। এমনকী তারা বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু পারিবার থেকে তারা অনুমোদন পায়নি।
‘বিগ বস ৫’-এর আকাশদীপ সায়গলের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল পূজার। আকাশদীপ তার বাইসেপে পূজার নামও ট্যাটু করিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে এই সম্পর্কটি স্থায়ী হয়নি। ২০১৩ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে।
তিনি ২০১৯-এর ১৪ ফেব্রুয়ার মানেক কন্ট্রাক্টরের সঙ্গে বাগদান সারেন। তারপর অবশ্য তাদের বিয়ের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, পূজা একবার অকপটে ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেম এবং বিয়ে সম্পর্কে তার মতামত শেয়ার করেছিলেন। অভিনেত্রী তার বাবার উদাহরণ দিয়ে বলেছিলেন, ‘জীবনের অভিজ্ঞতাগুলি আপনাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে, খারাপ করে দেবে না। একটা বিয়ে যদি কার্যকর না হয়, তবে দ্বিতীয়টা হবে না এমন কোনো কথা নেই। আমার বাবা (কবীর বেদী) চারবার বিয়ে করেছেন। তিনি কিছু চমৎকার নারীকে বিয়ে করেছেন, আমি খুব ভালো ভালো সৎ মা পেয়েছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।