সিলেটে সংঘবদ্ধ একটি সাইবার অপরাধ চক্রের তৎপরতার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, এই চক্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে ভুয়া কপিরাইট স্ট্রাইক, অনলাইন হয়রানি, হুমকি, মানহানি এবং অর্থ আদায়ের চেষ্টা করে আসছে।

ভুক্তভোগী সিলেটের জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর রাফিয়া আক্তার বৃষ্টি, যিনি সামাজিক ও নাগরিক বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয়, বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। অভিযোগ অনুযায়ী, এই কারণে তিনি বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকি, ধারাবাহিক অনলাইন হয়রানি এবং অর্থ দাবির মুখোমুখি হয়েছেন।
এ ঘটনায় মোগলাবাজার থানা, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)–তে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করা হয়েছে, নাম্বার : জি ডি নং : ১৪২৯, তারিখ ২৯/১২/২০২৫।
জিডিতে অনলাইন হুমকি, অশালীন বার্তা প্রেরণ, অ্যাকাউন্ট হ্যাকের চেষ্টা, সামাজিকভাবে মানহানি এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে অর্থ আদায়ের চেষ্টার অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি বর্তমানে তদন্তাধীন।

ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই চক্রের মূল অভিযুক্ত হিসেবে আবু আদিল হাসানকে শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ আছে, চক্রের একজন সহযোগী তানভীর হোসেন বর্তমানে পর্তুগালের লিসবনে অবস্থান করে অনলাইন কার্যক্রমে যুক্ত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রোফাইলগুলো তদন্তের স্বার্থে কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মাত্রার বিষয় হওয়ায় ভুক্তভোগী ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি যুক্তরাজ্যভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়া এজেন্সির মাধ্যমে বিষয়টি পর্তুগাল পুলিশের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং নারী সহায়তা সংস্থাকে জানিয়ে দিয়েছেন।
রাফিয়া আক্তার অভিযোগ করেছেন, এই সংঘবদ্ধ চক্র সাধারণত প্রযুক্তিগতভাবে কম সচেতন মানুষ—বিশেষ করে নারীদের—টার্গেট করে ভয়ভীতি, ব্ল্যাকমেইল এবং অর্থ আদায়ের মাধ্যমে ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করে। তিনি দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।


