জুমবাংলা ডেস্ক : বস্তায় আদা চাষ বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। অনেকেই বস্তাায় আদা চাষ করে লাভবান হয়েছেন। যার বৈজ্ঞানিক নাম জিংজিবার অফিসিনালী। রংপুরের পীরগাছায় বাড়ির উঠানে প্রায় ৩শ বস্তায় ঔ’ষুধি গুণ সমৃদ্ধ মসলা জাতীয় ফসল আদা চাষের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক শাহ মোঃ আশিকীন মিয়া।
আদা লাগানোর উপযুক্ত সময় মার্চ-এপ্রিল মাস বেলে, দোআঁশ মাটিতে আদার ফলন ভালো হয়। বস্তায় আদা চাষের সুবিধা হচ্ছে যাদের আবাদি জমি নেই তারাও ইচ্ছা করলে বসতবাড়ির আশপাশে, আঙিনায়, সুপারি বাগান কিংবা অন্যান্য পতিত জমিতে বস্তায় আদা চাষ করতে পারে। বীজ লাগানোর সময় মাটি শোধন করে নিলে আদায় মড়ক লাগার সম্ভাবনা কমে যায়। এক একটি বস্তায় একটি করে বীজ আদা রোপণ করে ২-৩ কেজি পর্যন্ত আদা উৎপাদন করা সম্ভব।
উপজেলার ছাওলা ইইনয়নের বালাটারী গ্রামের কৃষক শাহ মোঃ আশিকীন মিয়ার বলেন, স্বল্প পরিসরে বস্তায় আদা চাষ করছি, তা দিয়ে আমার পরিবারের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে, এ বছর ৩শ টি বস্তায় আদা চাষ করছি। পরিবারের চাহিদা মেটানোর পরেও বাড়তি আয়ের আশা করছি। এবারে আমি উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ এর পরামর্শে বস্তায় আদা লাগিয়েছি দিন দিনে চারাগুলো পরিপক্ব হচ্ছে, আমার স্বপ্ন ডানা মেলতে শুরু করেছে। নিচু জমিতে গত মৌসুমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় আদা নষ্ট হয়ে যায়।
উপজেলার বালাটারী ব্লকের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ জানান, মাঠ পর্যায়ে বস্তায় আদা চাষের ব্যাপারে আমরা কৃষকদের সবসময় উদ্বুদ্ধ করছি। পরবর্তিতে আরো কৃষক যেন বস্তায় আদা চাষে আগ্রহী হয় সেজন্য আমরা কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আলম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আদা যেহেতু মসলা জাতীয় ফসল প্রত্যেকেই যদি বসতবাড়িতে কিংবা পরিত্যক্ত জায়গায় বস্তা পদ্ধতিতে কিছু কিছু আদা চাষ করেন তাহলে পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও বাড়তি উপার্জন করা সম্ভব। আমাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালাগুলোতে আমরা এ ব্যাপারে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।