জুমবাংলা ডেস্ক : স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে শার্শায় মনিরুজ্জামান নামের এক ভ্যানচালককে হত্যার অভিযোগে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। এ ঘটনার ১০দিন পর দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার প্রেমিকসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে নিহতের ছেলে আলী হোসেন রবিবার (১৩ নভেম্বর) এই মামলা করেছেন। এ সময় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ এ ব্যাপারে আর কোনো মামলা হয়েছে কি না, আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য শার্শা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, একই উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী ফিরোজা খাতুন, প্রেমিক একই গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে সেলিম ও সেলিমের মা রওশনারা বেগম।
বাদী মামলায় বলেছেন, তার বাবা মনিরুজ্জামান ভ্যানচালক ছিলেন। সংসারে অভাব অনাটন ও বাড়িতে অন্য কেউ না থাকার সুযোগে আসামি সেলিম তাদের বাড়িতে এসে ফিরোজা বেগমের প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন সময় এলাকাবাসী তাদের অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে ফেলায় একাধিকবার সালিস হয়। সালিসে সেলিম ও ফিরোজা বেগম আর এমন কাজ করবেন না বলে অঙ্গীকার করে। এ ঘটনার ১৭ দিন আগে সেলিমের সঙ্গে ফিরোজা বাড়ি থেকে পালিয়ে চলে যায়। পরে বিভিন্নস্থানে খোঁজখবর নিয়ে ফিরোজাকে আবারও ফিরিয়ে আনেন মনিরুজ্জামান।
এদিকে ফিরোজাকে ফিরিয়ে আনার পরই আবার সেলিমের সঙ্গে মনিরুজ্জামানের বাগবিতণ্ডা হয়। ওই বাগবিতণ্ডার কথা শুনে ফিরোজা বেগমও সেলিমের পক্ষ নিয়ে স্বামী মনিরুজ্জামানের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। ফলে সেলিম ও ফিরোজা এবং সেলিমের মা রওশনারা বেগম একত্রে মনিরুজ্জামানকে হত্যার পরিকল্পনা করে। তবে ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে নারায়নপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।
দেশি ও বিদেশি মিশ্র ফল চাষে সাফল্য, বাণিজ্যিকভাবে আয়ের সম্ভাবনা
বেতনা নদীর পাড় দিয়ে আসার সময় একটি আমবাগানের কাছ থেকে মনিরুজ্জামানকে আসামিরা এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কাছে থাকা গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর তার কাছে থাকা গামছা গলায় পেঁচিয়ে আম গাছের একটি ডালের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। পরে এক পথচারী তা দেখে পুলিশকে সংবাদ দেয়। এরপরে ঘটনাস্থলে এসে মনিরুজ্জামানের কাছে থাকা বেশ কয়েক প্রকারের তরকারি ও রক্ত মাখা কাপড় পাওয়া যায়। বাদী পরে এসব বিষয় জানতে পেরে আদালতে মামলা করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।