বিনোদন ডেস্ক : ভারতীয় শোবিজ অঙ্গনের আলোচিত জুটি রঙ্গনাথন মাধবন ও সারিতা বিরজে। বাস্তব জীবনের তাদের প্রেম সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। ছাত্রী থেকে জীবনসঙ্গী, এরপর ২৩ বছরের দাম্পত্য জীবন। মাধবন-সারিতার প্রেম-বিয়ে নিয়ে এই প্রতিবেদন।
সিনেমায় নাম লেখানোর আগে শিক্ষকতা করেন মাধবন। ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে বিভিন্ন সেমিনারে বক্তব্য রাখতেন। সেই সময় বিমানবালা হওয়ার জন্য তার একটি সেমিনারে অংশ নিয়েছিলেন সারিতা। সেমিনার শেষে ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল ম্যায়’ সিনেমাখ্যাত এই অভিনেতাকে নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানান সারিতা। তিনিও সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যান।
পরবর্তী সময়ে এক সাক্ষাৎকারে ‘বিক্রম বেদা’ অভিনেতা বলেন, ‘সারিতা আমার ছাত্রী ছিল এবং আমাকে একদিন ডেটে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানায়। আমার চেহারা অনেক কালো ছিল, ভেবেছিলাম এটাই সুযোগ। আমার কখনো বিয়ে হবে কিনা তা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। তাই সুযোগটা কাজে লাগাই এবং তাকে বিয়ে করি।’
প্রায় আট বছর প্রেম করেন মাধবান ও সারিতা। এরপর ১৯৯৯ সালে তামিল রীতিতে তাদের বিয়ে হয়। বিয়েতে শুধু বন্ধু ও ঘনিষ্ঠজনরা উপস্থিত ছিলেন। মজার বিষয় হলো, বিয়ের পরই অভিনেতা হিসেবে বিশেষ খ্যাতি পান মাধবন।
মণি রত্নমের ‘আলাইপায়ুথে’ সিনেমার মাধ্যমে দর্শকের নজর কাড়েন এই অভিনেতা। এরপর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। পরে ‘কান্নাথিল মুথামিত্তাল’ (২০০২), রান (২০০২), ‘আনবে শিবম’ (২০০৩), ‘আয়ুথা এযুথু’ (২০০৪) প্রভৃতি সিনেমায় অভিনয় করেন। ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল ম্যায়’ ও ‘বিক্রম বেদা’ তার অভিনয় কেরিয়ারের উল্লেখযোগ দু’টি সিনেমা।
বিয়ের আউটডোর শুটিংয়ে সব সময় স্ত্রীকে সঙ্গে নিতেন মাধবন। এই অভিনেতার ভাষায়, ‘আউটডোর শুটিংয়ে একজন নারীসঙ্গী পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা কাজ করে, সেটি আমি জানতাম। তাই যেখানেই যেতাম সারিতাকে সঙ্গে নিতাম। নায়িকাদের সঙ্গে আলাপের সময়ও সে আমার সঙ্গে থাকতো। যখন কোনো রোমান্টিক দৃশ্যের শুটিং করতাম সে বুঝতো এতে আমার বাড়তি কোনো ইমোশন নেই। সিনেমা দৃশ্য ছাড়া এটি কিছুই নয়।’
বিয়ের ছয় বছরের মাথায় ২০০৫ সালে মাধবন ও সারিতার সন্তান পৃথিবীতে আসে। তারা ছেলের নাম রেখেছেন বেদান্ত। সে জাতীয় পর্যয়ের সাঁতারু। চলতি বছর ড্যানিস ওপেনে স্বর্ণপদক লাভ করেছে বেদান্ত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।