বিনোদন ডেস্ক : ৮০’র দশকের শেষের দিকে বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল সুরজ বরজাতিয়া পরিচালিত ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল, বলাই বাহুল্য যা সেইসময় নিঃসন্দেহে বক্সঅফিস কাঁপিয়ে দিয়েছিল। ছবিটি সালমান খানের সেইসময়ের দ্বিতীয় ব্লকবাস্টার হিট ছিল। ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন ভাগ্যশ্রী। বড়পর্দায় তাদের রসায়ন খুব অল্পসময়ে নজর কেড়েছিল গোটা দর্শকমহলের। তবে দীর্ঘদিন পর সেই ছবির প্রসঙ্গই আবারও উঠে এসেছে পরিচালকের এক সাক্ষাৎকারের সূত্র ধরে।
বলিউডের ভাইজান পর্দায় ছোট থেকে বড় সমস্ত অভিনেত্রীদের সাথেই চূড়ান্ত রোমান্টিক, তা অবশ্য আলাদাভাবে বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই শুরুর সময় থেকে এখনো পর্যন্ত দর্শকমহলে নিজের আলাদা একটা জায়গা ধরে রেখেছেন সালমান খান। এখনো তাকে পর্দায় একবার দেখার জন্য হা-হুতাস করেন তার অগণিত ভক্তগণ।
তবে ভাগ্যশ্রী এই মুহূর্তে বড়পর্দা থেকে অনেকটাই দূরে রয়েছেন। বলাই বাহুল্য, তিনি কোনদিনই সেভাবে সক্রিয় ছিলেন না অভিনয় জগৎ’এ। এখন থেকে থেকেই কিছু কিছু রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চে অতিথি বিচারকের আসনে দেখা মেলে তার। তবে বর্তমানে নিজেদের অভিনীত, ১৯৮৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবির সূত্র ধরেই সালমান-ভাগ্যশ্রী।
সেইসময় ভাগ্যশ্রী একটি রক্ষণশীল পরিবার থেকে অভিনয় জগতে এসেছিলেন। ক্যামেরার সামনে চুম্বনের দৃশ্যে অভিনয় করার অনুমতি তার তখন ছিল না। কিন্তু স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী ছবিতে অভিনেতার সাথে ভাগ্যশ্রীর একটি চুম্বনের দৃশ্য রাখতেই হত। এক সাক্ষাৎকারে সেই প্রসঙ্গেই কথা বলতে গিয়ে পরিচালক সুরজ বরজাতিয়া জানিয়েছিলেন, সেইসময় তিনি বেশ চিন্তায় পড়েছিলেন কিভাবে দৃশ্যটি পর্দায় উপস্থাপন করবেন? পাশাপাশি পরিচালক এও জানান, ঐ সময়ে একদিন শুটিং সেটে গিয়ে দরজা বন্ধ দেখেছিলেন তিনি।
সেইসময় তার সামনে কাচের দরজা চলে আসায় তিনি তার উপর ভিত্তি করেই স্ক্রিপ্ট লিখে ফেলেছিলেন। এরপরেই পর্দায় সেটে থাকা একটি কাচের মাধ্যমে চুম্বনের দৃশ্য শুট করে ফেলেছিলেন। পর্দায় ঐ কাঁচের মাধ্যমে তাদের চুম্বনের দৃশ্যটি সম্পূর্ণ হয়েছিল।
আশির দশকের শেষের দিকটাতেও ফুলকে প্রতীক বানিয়েই চুম্বনের দৃশ্য বোঝানো হতো। তবে পরিচালক সেভাবে নিজের ছবিতে এই দৃশ্য দেখাতে চাননি। একটু অন্যভাবে উপস্থাপন করতে চেয়েছিলেন ব্যাপারটা। বর্তমানে এটি হাস্যকর মনে হলেও, সেইসময় এই দৃশ্য বেশ মনে ধরেছিল দর্শকদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।