বিনোদন ডেস্ক : শোবিজে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ আর আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির বিচ্ছেদের খবর। বছরের শেষ দিনের শুরুর লগ্নে পরীর এমন স্ট্যাটাস ঘিরে তোলপাড় চলছে নেটদুনিয়ায়ও।
পরী সেখানে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘হ্যাপি থার্টিফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে। জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরী আর কিছুই নেই।’
এরপর থেকেই পরিচিত সবাই যোগাযোগ করছেন রাজ-পরী দম্পতির সঙ্গে। কিন্তু কারো ফোনই ধরছেন না তারা। এর মধ্যে পরী বলেছেন, ‘আমাদের এখনো বিচ্ছেদ হয়নি। তবে খুব শিগগিরই বিচ্ছেদের চিঠি পাঠিয়ে দেব। আমি রাজের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছি। গতকাল রাতে ওর বাসা থেকে বের হয়ে এসেছি। এখন থেকে আমরা আলাদা। দোয়া করি রাজ ভালো থাকুক।’
এই নায়িকা আরও বলেন, ‘এতদিন সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছি। এভাবে একটি জীবন চলতে পারে না। তাই বাধ্য হয়ে আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তবে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত রাজের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন রাজের বাবা মুসলিম মিয়া। তার ভাষ্য, ‘আসলে ওদের মধ্যে বিচ্ছেদের এমন কিছুই হয়নি। এই একটু মান-অভিমান। গতকাল রাতে রাজ শুটিং শেষ করে বাসায় ফিরেছে দেরি করে। এই দেরি করে বাসায় ফেরা নিয়ে পরী রাগ করেছে। ওদের মধ্যে সামান্য ঝগড়াও হয়েছে। তাই হয়তো পরী এমন স্ট্যাটাস দিয়েছে ফেসবুকে। আমরা সবাই একসঙ্গে আছি। আর ওদের বিচ্ছেদ হওয়ার কোনো সম্ভবনাও নেই।’
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একমাত্র সন্তান রাজ্যের (শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য) মুখের দিকে তাকিয়ে হলেও পরীকে এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন তার ঘনিষ্ঠজনরা। আর বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগও করছেন তারা। ফলে আশা করা যায়, রাজের ওপর পরীর ক্ষোভ কিছুটা হলেও কমবে। শুধু তাই না, অনেকে বলছেন- ইতিমধ্যেই পরীর রাগ কিছুটা হলেও কমেছে। গলতে শুরু করেছে তার অভিমানের বরফ। এখন দেখার পালা, শেষের গল্পটা।
রাজ-পরীর ঘনিষ্ঠ ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা আশাবাদী, পরীর তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেন। আর সকল মান-অভিমান ভুলে সুখের সংসারে মন দিবেন তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।