বিনোদন ডেস্ক : এক সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে শুধু সহ-অভিনেতারই প্রেমে পড়েন না নায়িকারা, কখনও কখনও তাদের মেন্টর-পরিচালকের প্রতিও আকৃষ্ট হন তারা। এই তালিকায় রয়েছেন বলিউডের নামীদামি নায়িকা-পরিচালকরা।
মাহি গিল
মাহি গিলের বলিউডে হাতেখড়ি পরিচালক তিগমাংশু ঢুলিয়ার হাত ধরে ‘সাহেব বিবি আউর গ্যাংস্টার’ ছবিতে।
সে সময় নাকি দু’জনকে প্রায়ই একসঙ্গে দেখা যেত। দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। তবে কেউই কখনও এই সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি।
ঊর্মিলা মার্তন্ডকার
ঊর্মিলা মার্তন্ডকারের প্রতি একটা গভীর ভাললাগা ছিল পরিচালক রামগোপাল বর্মার। নিজের বহু ফিল্মে তিনি ঊর্মিলাকে সুযোগ দিয়েছেন। তার মধ্যে ‘রঙ্গিলা’ এবং ‘সত্য’ অন্যতম।
সুস্মিতা সেন
মিস ইউনিভার্স হওয়ার পর মহেশ ভাটের ‘দস্তক’ ছবি দিয়ে বলিউডে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন সুস্মিতা সেন। এই ছবির চিত্রনাট্য বিক্রম ভাটের লেখা। সে সময় বিক্রম ভাটের সঙ্গে সুস্মিতার সম্পর্ক নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছিল। এক সাক্ষাৎকারে বিক্রম স্বীকার করেছিলেন, তার ছেলেবেলার বান্ধবী এবং স্ত্রী অদিতির সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে গিয়েছিল সুস্মিতার জন্য।
প্রাচী দেশাই
হাতেগোনা কয়েকটি ছবি করেছেন প্রাচী দেশাই। তার মধ্যে অন্যতম হল ‘বোল বচ্চন’। এই ছবির পরিচালক ছিলেন রোহিত শেটি। প্রাচী নাকি তখন নিজের ছোটখাটো সমস্ত বিষয়েই রোহিত শেটির থেকে পরামর্শ নিতেন। এমনকি রোহিত তাকে শপিং টিপসও দিতেন। দু’জনে লিভ ইন করছেন, বলিউডে এমন গসিপও ছড়িয়েছিল সে সময়।
কল্কি কেঁকলার
‘দেব ডি-’র পর অনুরাগ কশ্যপ এবং কল্কি কেঁকলার মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। তাদের দু’জনের ঘনিষ্ঠতা বিয়ে পর্যন্ত গড়িয়েছিল। তবে তার পরই সম্পর্ক জটিল হতে শুরু করে। বছর খানেকের মধ্যেই ডিভোর্স হয় দু’জনের।
শিবানী দান্ডেকার
শিবানী দান্ডেকারের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন ফারহান আখতার। এই জুটি প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ছবি শেয়ার করেন। ইতোমধ্যেই বাগদান পর্ব সেরে ফেলেছেন এই যুগল। ২০১৬ সালে ১৬ বছরের প্রথম সম্পর্কে ইতি টানেন ফারহান। তারপর তার জীবনে আসেন শিবানী। জিনাত আমনের প্রতি কতটা টান ছিল দেব আনন্দের? আত্মজীবনীতে ‘রোম্যান্সিং উইথ লাইফ’-এ সে কথা লিখে গিয়েছেন তিনি। ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’-র বিপুল সাফল্যের পর তাদের দু’জনের সম্পর্কের কথা সামনে উঠে আসে। ওয়াহিদা রহমানকে শুধু খুঁজে বারই করেননি অভিনেতা-পরিচালক গুরু দত্ত, তাকে নিজের অনুপ্রেরণা মানতে শুরু করেছিলেন। পরিচালক হিসেবে তিনি এতটাই পারফেকশনিস্ট ছিলেন যে, ছবির কাজ পছন্দ না হলে ছবিটির ১০০ শতাংশ সম্পূর্ণ হলেও তা বাতিল করে আবার নতুন করে কাজ শুরু করতেন।
পরিণীতি চোপড়া
পরিণীতি চোপড়া নাকি বারংবার পরিচালকদের প্রেমে পড়েন। এর আগে নাকি ‘লেডিস ভার্সেস রিকি বাহেল’ এবং ‘শুদ্ধ দেশি রোমান্স’ ছবির পরিচালক মণীশ শর্মার প্রেমে পড়েছিলেন এই নায়িকা। সে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার তিনি আবার এক সহকারী পরিচালকের প্রেমে পড়েছিলেন। বলিউডের বিখ্যাত পরিচালক-অভিনেতা রাজ কাপুরের সঙ্গে নার্গিসের সম্পর্ক নিয়ে আজও চর্চা হয় বি-টাউনের বিভিন্ন মহলে। চর্চায় কখনও উঠে আসে রাজ কাপুর-বৈজয়ন্তীমালার সম্পর্কের কথাও। রাজ কাপুর যে এক নারীতে সন্তুষ্ট থাকতে পারতেন না, তা নিজের আত্মজীবনী ‘খুল্লম খুল্লা’-তে ঋষি কাপুর জানিয়েছেন।
জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ
পরিচালক সাজিদ খান এবং জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের দীর্ঘ তিন বছরের সম্পর্ক ছিল। ২০১৩ সালে তাদের ব্রেক আপ হয়। সুভাষ ঘাইয়ের ১৯৯৭ সালের ছবি ‘পরদেশ’-ই ছিল তার অধীনে মাহিমা চৌধুরীর কাজ করা প্রথম এবং একমাত্র সুযোগ। কিন্তু পরিচালক-অভিনেত্রীর এই প্রেম বেশি দিন টেকেনি। মাহিমা তার সংস্থার চুক্তি অমান্য করেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন সুভাষ ঘাই।
চিত্রাঙ্গদা সিংহ
মডেল, অভিনেত্রী চিত্রাঙ্গদা সিংহের প্রথম স্বামী ছিলেন গল্ফার জ্যোতি রণধাওয়া। ২০১৪ সালে দু’জনের ডিভোর্স হয়। তার পর পরিচালক সুধীর মিশ্রের সঙ্গে তার জড়িয়ে পড়া। ‘ইয়ে শালি জিন্দেগি’, ‘ইনকার’ ছবিতে অর্জুন রামপালের বিপরীতে তাকে সুযোগ দিয়েছিলেন পরিচালক।
হুমা কুরেশি
পরিচালক অনুরাগ ক্যাশপ এবং কল্কি কেঁকলার সম্পর্ক জটিল হওয়ার পিছনে অভিনেত্রী হুমা কুরেশির অবদান রয়েছে, ইন্ডাস্ট্রিতে এমনই গুঞ্জন। তাদের ডিভোর্সের আগে থেকেই নাকি ক্রমশ হুমার ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন অনুরাগ ক্যাশপ। আর এই নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। তবে তাদের প্রেমের কথা কখনও অনুরাগ বা হুমা স্বীকার করেননি।
আমিশা প্যাটেল
চিরকালই খোলামেলা পরিচালক বিক্রম ভাট। সুস্মিতা সেনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কখনও লুকোচুরি করেননি। তেমনই সুস্মিতার পর তার আমিশা প্যাটেলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। সেটাও স্বীকার করেছেন তিনি। তবে সে সম্পর্ক কোনও পরিণতি পায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।