বিনোদন ডেস্ক : সময়ের আলোচিত ঢালিউড তারকা দম্পতি পরীমণি ও শরিফুল রাজ। কিছুটা গোপনে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন তারা। তবে কিছুদিন আগে দুজনের সম্পর্কে ফাটলের আভাস পাওয়া গিয়েছিল। ৩০ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে হঠাৎ পরীমনি একটি স্ট্যাটাস দেন। যা মুহুর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর পরীমনি জানান রাজের সঙ্গে এক ছাদের নিচে থাকছেন না এবং শিগগির ডিভোর্সের চিঠি পাঠাবেন। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও গণমাধ্যমের কাছে কিছু বলেননি তার স্বামী শরীফুল রাজ।
রাজ মুখ না খুললেও তার বাবা মুসলিম মিয়ার দাবি, শুটিং শেষ করে রাজের বাসায় ফিরতে কিছুটা দেরি হয়। যা নিয়ে পরী রাগ করে। এই বিষয়টা নিয়ে তাদের মধ্যে সামান্য ঝগড়া হয়। যার ফলে পরী এমন স্ট্যাটাস দিয়ে থাকতে পারে।’
শুক্রবার রাতে পরীমণি তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘হ্যাপি থার্টিফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে। জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরী আর কিছুই নেই।’
রাজের বাবা আরও বলেন, ‘পরী এখনও কিছুটা অভিমান করে থাকলেও তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। রাজ-পরী ও আমরা সবাই একসঙ্গে আছি। আশাকরি ওদের দুজনের সম্পর্ক সুন্দর থাকবে।’
পরীমণি এই ‘ছুটি’ শব্দটাকে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ বুঝিয়েছেন কি না—সেটা স্পষ্ট করেননি। তাই তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে, এমনটা বলা যাচ্ছিল না। পরে একটি গণমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, এখনও তাদের বিচ্ছেদ হয়নি।
পরীমণি বলেন, ‘এখনও বিচ্ছেদ হয়নি। তবে আমি সম্পর্ক ছিন্ন করে রাজের বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছি। আজ থেকে আমরা আলাদা হয়ে গেলাম। শিগগিরই বিচ্ছেদের চিঠি পাঠিয়ে দেব।’
আলাদা হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তার আরও বক্তব্য, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই সমস্যা হচ্ছিল। সমস্যা কাটিয়ে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছি, পারলাম না। তার আচার-আচরণ একসঙ্গে থাকার পরিস্থিতি নাই। তাই বাধ্য হয়ে বাসা ছেড়ে আলাদা হয়ে গেলাম। আমার মনমানসিকতা এখন ভালো নাই, এর বেশি আর কিছু বলতে পারছি না।’
গত বছরের ১৭ অক্টোবর গোপনে একে অপরকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বিয়ে করেন পরীমণি ও রাজ। তবে খবরটি প্রকাশ্যে এনেছেন এ বছরের ১০ জানুয়ারি। একই দিন আরও ঘোষণা করেন, সন্তান আসছে তাদের ঘরে। এরপর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও করেন তারা। চলতি বছরের ১০ আগস্ট পরীমণির কোলজুড়ে আসে রাজ্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।