নভেম্বর মানেই শীতের আগমন। ধীরে ধীরে জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত, আর সঙ্গে শুরু হয়েছে শীতের জামা বের করার সময়। আমাদের দেশে তিন মাসের বেশি শীত থাকে না, কিন্তু এই সময়ে উষ্ণতা ও আরামের জন্য শীতের জামা অপরিহার্য। তবে পরার আগে এসব পোশাক পরিষ্কার ও যত্ন নেওয়া জরুরি, যাতে থাকে নরম, উষ্ণ এবং তাজা গন্ধে ভরা।

সংরক্ষণের পর পরিষ্করণ
যদি গত শীতে শীতের জামা পরিষ্কার করে তুলে রাখা হয়ে থাকে, তবে এবার নামানোর পর না ধুলেও চলে। তবে পরার আগে একবার রোদে বা খোলা বাতাসে রেখে নিলে ভালো। এতে আলমারিতে থাকা স্যাঁতসেঁতে ভাব ও গন্ধ দূর হয়ে যায়।
উল ও সোয়েটারজাত শীতের জামা
উলের বা সোয়েটারজাত শীতের জামা লেবেলে নির্দেশিতভাবে পরিষ্কার করতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ড্রাই ক্লিন করা উত্তম। কোথাও ছোপ বা ফাঙ্গাস থাকলে ভিনেগার মিশ্রিত পানিতে আলতোভাবে মুছে ফেলুন। এতে কাপড়ের গুণ ও উষ্ণতা বজায় থাকে।
জ্যাকেটের যত্ন
জ্যাকেট হলো শীতের জামার মধ্যে একটি স্টাইলিশ পোশাক। লেবেলে যদি “ড্রাই ক্লিন অনলি” লেখা থাকে, তাহলে ড্রাই ক্লিন করানো উচিত। আবার যদি ওয়াশেবল হয়, তবে মেশিনে ঠান্ডা পানিতে জেন্টল মোডে ধুয়ে নিন। রোদে দীর্ঘক্ষণ ঝুলিয়ে রাখবেন না; হালকা শুকিয়ে ঘরে ঝুলিয়ে রাখুন।
মাফলার, স্কার্ফ ও শালের যত্ন
মাফলার, স্কার্ফ বা শাল যেকোনো শীতের জামার পরিপূরক। সিল্ক বা পশমের হলে ঠান্ডা পানিতে হাতে ধুয়ে ফেলুন। তুলার হলে মেশিনে জেন্টল মোডে ধোয়া যায়। শুকিয়ে নেওয়ার পর হালকা ইস্ত্রি করুন, চাইলে ভেজা সুতি কাপড়ের ওপর দিয়েও ইস্ত্রি করতে পারেন।
উলের সোয়েটার ও কার্ডিগান পরিষ্কার
উলের সোয়েটার বা কার্ডিগান কুসুম গরম পানিতে হালকা ডিটারজেন্ট মিশিয়ে হাতে ধুয়ে ফেলুন। জোরে ঘষবেন না, বরং আলতো করে ফেনা বের করে দিন। শুকানোর সময় লম্বা করে ঝুলিয়ে নয়, বরং সমানভাবে মেলে শুকান। সামান্য কন্ডিশনার মেশালে শীতের জামা আরও নরম থাকবে।
শীতের জামা ব্যবহারের আগে সঠিকভাবে পরিষ্কার ও সংরক্ষণ করলে তা দীর্ঘদিন নতুনের মতো থাকবে। ধুলাবালির কারণে অ্যালার্জি বা ইনফেকশন এড়াতে নিয়মিত যত্ন নেওয়া জরুরি। তাই এই শীতে উষ্ণতা ও আরামের সঙ্গে থাকুক পরিচ্ছন্ন ও সতেজ শীতের জামা।
জেনে রাখুন-
১. শীতের জামা কখন পরিষ্কার করা উচিত?
শীতের শুরুতে এবং মৌসুমের মাঝামাঝি অন্তত একবার শীতের জামা পরিষ্কার করা উচিত। এতে ধুলো ও গন্ধ দূর হয় এবং কাপড় নরম থাকে।
২. উলের শীতের জামা কীভাবে ধোয়া নিরাপদ?
উলের শীতের জামা কুসুম গরম পানিতে হালকা ডিটারজেন্ট দিয়ে হাতে ধোয়া ভালো। ড্রাই ক্লিন করলে আরও টেকসই হয়।
৩. জ্যাকেট কি মেশিনে ধোয়া যায়?
যদি লেবেলে ওয়াশেবল লেখা থাকে, তবে ঠান্ডা পানিতে জেন্টল মোডে ধুয়ে নিন। তবে “ড্রাই ক্লিন অনলি” লেখা থাকলে ড্রাই ক্লিন করান।
৪. মাফলার বা শাল ধোয়ার সময় কী সতর্কতা নিতে হবে?
সিল্ক বা পশমের হলে হাতে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। তুলার হলে মেশিনে ধোয়া যায়, তবে হালকা ইস্ত্রি করুন।
৫. শীতের জামা নরম রাখার উপায় কী?
ধোয়ার পর সামান্য কন্ডিশনার ব্যবহার করুন এবং শুকানোর সময় রোদে বেশি না রেখে ছায়ায় রাখুন। এতে শীতের জামা থাকবে নরম ও আরামদায়ক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



