চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে অতি দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করাই একমাত্র পথ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (২৩ জুলাই) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, গতকাল রাতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে আমরা অংশ নিয়েছিলাম, কারণ সরকার কোনো সংকটে পড়লেই আমাদের ডাকে। আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তাই সে আলোচনা থেকে পিছিয়ে আসিনি।
তিনি মনে করেন, মতবিনিময় আরও ঘন ঘন হলে অনেক সংকট এড়ানো যেত। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যারা সংগ্রাম করেছে, তাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার আলোচনা ছিল সময়োপযোগী।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কথার আদান-প্রদান ও মতবিরোধ স্বাভাবিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনীতি মানেই হচ্ছে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা করা, নিজের অবস্থান তুলে ধরা- এটাই রাজনীতির সৌন্দর্য।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, রাজনীতির নিয়মটাই এমন। এতে কেউ পক্ষে কথা বলবে, কেউ বিপক্ষে কথা বলবে, এটাই স্বাভাবিক। এর মধ্য দিয়েই গণতন্ত্র বিকশিত হয়।
তিনি আরও বলেন, শতফুল ফুটতে দিতে হবে। গণতন্ত্র মানেই সবাইকে কথা বলতে দেওয়া, সবাইকে শুনতে দেওয়া। সেই আলাপ-আলোচনার মধ্য থেকেই সবচেয়ে সুঘ্রাণ বেরিয়ে আসে, গণতন্ত্র শাণিত হয়।
জুলাই ও আগস্টের গণআন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এ সময়েই দেশে পরিবর্তন এসেছে, ফ্যাসিস্ট শক্তিকে রুখে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন আবার সেই শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, এর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
মির্জা ফখরুল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করতে হবে এবং ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নির্বাচনের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।