আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকা দাবানল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। ইতোমধ্যে দাবানলে পুড়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিবিসি ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত সাতজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। দাবানল নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টার থেকে পানি ছিটানো হচ্ছে। ফেরত আনা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত দমকলকর্মীদের। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের বাড়িও খালি করতে বলা হয়েছে।
বহু হলিউড স্টারের বাড়িও আগুনে জ্বলে যাওয়ার আশঙ্কা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার ইতালি সফর বাতিল করেছেন। আর নবনির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবানল নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ করেছেন।
লস অ্যাঞ্জেলেসের শেরিফ রবার্ট লুনা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি, আর যাতে কারো প্রাণ না যায়। কিন্তু পরিস্থিতি তেমন নয়। আরো প্রাণহানির আশঙ্কা আছে।’
বহু মানুষ এখনো আগুনে আটকে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে এই পরিস্থিতির মধ্যেই তিনজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগুনের কারণে পরিত্যক্ত বাড়িতে ঢুকে তারা চুরি করার চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ।
লস অ্যাঞ্জেলেসের দমকলপ্রধান অ্যান্টনি ম্যারন জানিয়েছেন, প্যালিসেডের বিত্তশালী অঞ্চলে অন্তত এক হাজার বাড়ি ইতিমধ্যেই আগুনে জ্বলে গেছে। সব মিলিয়ে পাঁচ হাজার একরেরও বেশি এলাকা এখন আগুনের কবলে।
বস্তুত, লস অ্যাঞ্জেলেসের অন্তত চারটি অঞ্চলে আলাদা আলাদা করে আগুন লেগেছে। প্রতিটি আগুনই নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আগুন ক্রমশ ছড়াচ্ছে। শেরিফ জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো দমকলকর্মী লস অ্যঞ্জেলেসে নেই।
দাবানলের কারণে এক লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দমকলপ্রধান জানিয়েছেন, হাওয়ার বেগ খুব বেশি, যে কারণে আগুন আরো দ্রুত ছড়াচ্ছে। এদিকে দাবানলের কারণে লস অ্যাঞ্জেলেসের প্যাসিফিক প্যালিসেডসসহ বিভিন্ন এলাকার শত শত বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষয়ক্ষতির কথা নিজেই জানিয়েছেন তারকারা। অস্কার, এমি ও গোল্ডেন গ্লোবজয়ী অভিনেত্রী জেমি লি কার্টিস জানিয়েছেন, তার পরিবার নিরাপদ, কিন্তু তাদের বাড়ি রক্ষা পায়নি। তিনি উদ্ধারকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ‘জরিমানা’ করছিলেন ভুয়া পুলিশ, ধরা আসল পুলিশের হাতে
সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী ম্যান্ডি মুর ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, আগুন থেকে বাঁচতে তিনি তার সন্তান ও পোষা প্রাণীদের নিয়ে এলাকা ছেড়েছেন। মার্ক হামিল এবং জেমস উডকেও বাড়ি ছাড়তে হয়েছে। আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের বাড়িও এখানে। তাকেও বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে হ্যারিস এখন লস অ্যাঞ্জেলেসে নেই।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ পিয়ের সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘বুধবার বিকেলে লস অ্যাঞ্জেলসে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানে তিনি পুলিশ, দমকলবাহিনী ও উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে দেখা করেন। ক্যালিফোর্নিয়ায় বড় ধরনের বিপর্যয় ঘোষণা করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।