জুমবাংলা ডেস্ক : পর্যাপ্ত মজুত-সরবরাহ সত্ত্বেও গত এক সপ্তাহে রাজধানীর বাজারে প্রায় সব জাতের চালের দাম বেড়েছে। প্রতি ৫০ কেজির বস্তায় চালের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। কোরবানির ঈদে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং রাইস মিল বন্ধ থাকায় এই দাম বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে , খুচরা বিক্রেতারা প্রতিকেজি নাজিরশাইল ৬৫ থেকে ৭৮ টাকা, মিনিকেট চাল ৬২ থেকে ৬৮ টাকা, বিআর-২৮ ও বিআর-২৯ চাল ৫৪ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি করছেন। মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৫৪ টাকা এবং মোটা হাইব্রিড চাল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায় ।
কোরবানির ঈদের আগে এসব চালের খুচরা দাম কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা কম ছিল।
শনিবার পূর্ব শেওড়াপাড়ার একটি দোকান থেকে চাল কেনার সময় এক ক্রেতা জানান, ঈদের আগে একই দোকান থেকে ৭২ টাকা কেজি দরে মিনিকেট চাল কিনেছিলেন তিনি। আজ একই চালের জন্য তাকে কেজিপ্রতি ৭৫ টাকা দিতে হয়েছে।
মহাখালীতে চালের দোকানে চাল কিনতে আসা জাফর আহমেদ জানান, এক সপ্তাহ আগে তিনি মিনিকেট চাল ৬৮ টাকা কেজিতে বিক্রি করলেও গতকাল ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। একইভাবে বিআর-২৮ চালের দাম এক সপ্তাহ আগে ৫৩ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫ টাকা কেজি হয়েছে। পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণেই চালের দাম বেড়েছে বলে মনে করেন মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের সুচনা। তিনি বলেন, ‘মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের দাম ৫০ কেজিতে ১০০ টাকা বেড়েছে, আর বিআর-২৮ চালের দাম ৫০ কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে।’
বর বিছানায় স.হ.বা.সে সক্ষম কিনা পরীক্ষা দিতে হয় কনের আত্মীয়দের কাছে
মিরপুর-১১ কাঁচাবাজারের মকবুল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী কামাল সরদার বলেন, ‘দাম আরও বাড়ার আশায় অনেক কৃষক এখন তাদের ফসল বিক্রি করছেন না। এক সপ্তাহ আগে আমরা মণপ্রতি ১৩০০ টাকায় যে ধান কিনেছিলাম এখন তার দাম ১৩৮০ টাকা।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।