আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কেনিয়ার একটি পনির কারখানায় নারী কর্মচারীদের তাদের পিরিয়ড চলছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য পোশাক খুলতে বাধ্য করা হয়। এই ঘটনাটি সমালোচিত হলে পরে ওই কারখানার অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিবিসি জানিয়েছে, কেনিয়ার ব্রাউনস ফুড নামক একটি পনির কারখানার কোনোও একজন নারী কর্মী তার ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন ভুল বিনে ফেলে দেয়ার পর কেউ ভুল স্বীকার না করলে, কারখানার ম্যানেজার সমস্ত নারী কর্মীদের একত্রিত করে কার পিরিয়ড চলছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন।
ব্রাউনস ফুড তাদের ওয়েবসাইটের একটি বিবৃতিতে জানায়, তদন্তের পর অভিযুক্ত ম্যানেজারকে বরখাস্ত করেছে তারা। তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলে, বিষয়টি কোনোও ভাবেই কোম্পানির বাবস্থাপনার প্রতিফলন করে না। আমাদের কর্মীদের সংবেদনশীল করতে, যোগাযোগ উন্নত করতে এবং আমাদের নীতি ও পদ্ধতিগুলো শক্তিশালী করতে একজন মহিলা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞকে নিযুক্ত করছি।
কেনিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার জন্য তিনজনের বিরুদ্ধে অশালীন অভিযোগ পাওয়া গেছে। সমস্যা সমাধানে নারীদের ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করা সত্ত্বেও সমস্যাটি সমাধান করতে পারেনি অভিযুক্তরা। ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে বিবৃতি রেকর্ড করে তিনজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে তারা।
পিরিয়ড শেমিং কেনিয়ার একটি বড় সমস্যা। কেনিয়ার অন্যান্য কোম্পানিতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও ফেব্রুয়ারি মাসে একজন নারী সিনেটরকে তার ট্রাউজারে স্পষ্ট রক্তের দাগের কারণে সংসদ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।