আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পড়ুয়াদের অভিবাবকরা অশ্লীল পোশাক পরে স্কুলে যাচ্ছেন। এর ফলে বাধ্য হয়ে অভিবাকদের জন্যও পোশাক বিধি জারি করেছে স্কুলে। পড়ুয়াদের স্কুলে যাওয়ার সময় যেমন নির্দিষ্ট স্কুলের পোশাক পরে যেতে হয়, ঠিক তেমনই সেই স্কুলে অভিবাবকদের যাওয়ার সময় নির্দিষ্ট পোশাক পরে যেতে হবে। এমনই এক নির্দেশিকায় শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ঘটনা ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া হল এমন একটি জায়গা, যেখানে বিভিন্ন ধরনের আজব ঘটনা ভাইরাল হয় সবার আগে। সম্প্রতি তেমনই এক চমকে দেওয়া ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ঝড়ের গতিতে। স্কুলের তরফে ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে অভিভাবকদের বার্তা পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সন্তানকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার সময় ‘অশালীন’ পোশাক পরে আসছেন বহু অভিভাবক।
ভবিষ্যতে তা আর চলবে না। এর ফলে সেই স্কুলের বিরুদ্ধে নীতিপুলিশির অভিযোগ তুলে গোটা ঘটনায় বিতর্ক শুরু হয়েছে। স্কুলের সাফ নির্দেশ পড়ুয়াকে স্কুলের নির্দিষ্ট পোশাক পরতে তো হবেই, সেইসঙ্গে বাবা-মাকেও এবার থেকে মেনে চলতে হবে পোশাক বিধি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ঘটনা ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তীব্র বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেই ঘটনাটি ঘটেছে আহমেদাবাদে। জানা গিয়েছে যে, সেখানকার বেশ কয়েকটি স্কুলে ‘শালীন’ পোশাক পরা নিয়ে রীতিমতো নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বহু বেসরকারি স্কুল শুরু হয় খুব ভোরে। ঘুম থেকে উঠেই সন্তানকে তৈরি করে স্কুলে হাজির হন অভিবাবকেরা।
স্কুলগুলোর অভিযোগ, সেই সময় অভিভাবকদের অনেকেই ‘অশালীন’ পোশাক পরে স্কুলে হাজির হচ্ছেন। অনেকেই পাজামা, শর্টস, হাতকাটা জামা, স্যান্ডো গেঞ্জির মতো রাত পোশাক পরে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে স্কুলে হাজির হচ্ছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এই ধরনের পোশাক বিদ্যালয় চত্বরে কখনও শোভনীয় নয়। এতে ছাত্রছাত্রীদের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে। সেই কারণেই অভিভাবকদের ‘শালীন’ পোশাক পরার নির্দেশ দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ফোনে ও হোয়াটসঅ্যাপে এই বিষয়ে অভিভাবকদের বার্তা পাঠিয়েছে স্কুলগুলি। যা ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগেনি।
আহমেদাবাদের একাধিক স্কুলের এমন নির্দেশিকায় জন্ম দিয়েছে নতুন বিতর্ক। অভিভাবকরা কেমন পোশাক পরবেন, সেই বিষয়ে স্কুল নাক গলাতে পারে না বলে মত একাংশের। যদিও স্কুলগুলিও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়। অভিভাবকদের ‘শালীন’ পোশাক পরেই স্কুলে আসতে হবে, জানিয়ে দিয়েছে তারা। এই বিষয়ে এক অভিভাবকের বক্তব্য, “অনেক সময়েই পোশাক বদলের সময় থাকে না। তাড়াহুড়োয় বাচ্চাদের স্কুলে পৌঁছে দিতে হয়। এখন দেখছি আমার ইনবক্সে ‘শালীন’ পোশাক সম্পর্কে একটি লিখিত বার্তা পাঠিয়েছে স্কুল। অবাক হয়েছি এমন নির্দেশিকা দেখে।” নেটিজেনরাও বেশ হতবাক এমন ঘটনায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।