জুমবাংলা ডেস্ক : ঈদযাত্রায় চাপ কমাতে শ্রমিকদের ধাপে ধাপে অঞ্চলভিত্তিক ছুটি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ। পাশাপাশি ২০ এপ্রিলের মধ্যে পোশাক শিল্পের সব কারখানায় বেতন ও বোনাস পরিশোধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে ২০০টির মতো কারখানার বেতন বোনাস পরিশোধ করা নিয়ে শঙ্কা আছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
দেশের সবচেয়ে বড় খাত তৈরি পোশাক শিল্পে ৩০ লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ ঢাকা ও আশপাশের কারখানায় নিয়োজিত। তাই ঈদ উৎসব নির্বিঘ্ন করতে বেতন বোনাস ও ছুটির বিষয়ে পরিকল্পনা করেছে বিজিএমইএ।
বিজিএমইএ পরিচালক খসরু চৌধুরী বলেন, ঈদের আগে একই দিনে সব কারখানা ছুটি হলে বড় চাপ পড়ে ঈদযাত্রায় বাড়ি পৌঁছাতে। তাই অঞ্চলভিত্তিক ছুটি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে শিল্পের মালিক-শ্রমিক পক্ষ ও সরকারের বৈঠকের পর ১০ এপ্রিলের মধ্যে বেতন পরিশোধ ও ২০ এপ্রিলের মধ্যে বোনাস দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।। সরকারের এই নির্দেশনা মানতে মালিকপক্ষ পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সভায় উঠে আসে ২০০টির বেশি কারখানাকে ঠিকভাবে বেতন বোনাস পরিশোধ করতে বেগ পেতে হবে। তাই স্বল্প সময়ের জন্য কম সুদে একটি ফান্ড থেকে ঋণের ব্যবস্থা করার দাবি জানায় বিজিএমইএ।
বিজিএমইএ পরিচালক খসরু চৌধুরী বলেন, ২০০টির বেশি কারখানা ঠিকভাবে বেতন বোনাস দিতে পারবে না। তাই আলোচনার মাধ্যমে কিছু বেতন প্রদানের চেষ্টা চলছে। আর কম সুদে ঋণ প্রদানের জন্য সরকারকে আহবান জানান তিনি।
তবে শ্রমিক নেতারা বলছেন, জীবন যাত্রায় ব্যয় বাড়লেও শ্রমিকের বেতন বাড়েনি। চলতি বছর অন্য বছরের চেয়ে ওভারটাইমও কম। এ অবস্থায় স্বস্তিতে ঈদ করতে হলে বোনাসের সঙ্গে চলতি মাসের বেতন দেয়ার দাবি জানান তারা।
শ্রমিক নেতা তপন সাহা বলেন, এপ্রিলের পুরো মাসের বেতন না হলেও অন্তন্ত ১৫ দিনের অগ্রিম বেতন মালিকপক্ষকে দিতে হবে। কারণ সামান্য বেতন ও বোনাস দিয়ে ঈদ উদযাপন সম্ভব নয়।
আর বিজিএমইএ, বিকেএমইএ সদস্যভুক্ত কারখানা ছাড়া অন্য সব কারখানাতেও সময় মতো বেতন বোনাস পরিশোধ করে সেদিকে নজর রাখার দাবি শ্রমিক নেতাদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।