হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ বিশ্বাস করে আসছে , ‘‘পশুপাখি প্রাকৃতিক বিপদের লক্ষণ বুঝতে পারে। এর মধ্যে ভূমিকম্পও অন্তর্ভুক্ত।’’ প্রাকৃতিক দুর্যোগের আভাস পেলে পশুপাখিদের আচরণে অস্থিরতা প্রকাশ পায়। যেমন, কুকুর ঘেউ ঘেউ করে, পাখিরা উড়তে আরম্ভ করে, সাপেরা গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে।

উল্লেখ করা প্রয়োজন, ২০০৪ সালের সুনামির আগে ইন্দোনেশিয়ার একটি দ্বীপে হাতিরা উঁচু জায়গায় উঠে গিয়েছিল। বিজ্ঞানীরা বলেন, ‘‘ভূমিকম্পে পৃথিবীর স্তর থেকে যে লো-ফ্রিকোয়েন্সি ইনফ্রাসাউন্ড এবং সিসমিক ওয়েভ উঠে আসে’’। এই ওয়েভের কিছু আভাস পশুপাখিরা বুঝলেও বুঝতে পারে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।
২০২৩ সালে তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্তে ভয়াবহ ভূমিকম্পটি হয়। সেই ভূমিকম্পের প্রাক্কালে সংলগ্ন এলাকার পাখিদের আচরণ ছিল অস্বাভাবিক। সেই মুহূর্তের পাখিদের অস্বাভাবিক আচরণের একটি ভিডিও পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যা দেখলে মনে হতে পারে পাখিরা বোধহয় সত্যিই এই ভয়াবহ বিপর্যয়ের আঁচ পেয়েছিল ।
ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি অনুভব করেছেন ঢাকার ১ কোটির বেশি মানুষ : ইউএসজিএস
অনেক লোককাহিনী ও ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণে দাবি করা হয় যে, পাখি, পশু, মাছ সরীসৃপ এমনকি পতঙ্গরাও ভূমিকম্প, সুনামি, ঝড় বা যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম পূর্বাভাস পায়।। যদিও বৈজ্ঞানিক প্রমাণগুলি এই ধারণাকে জোরালোভাবে সমর্থন করে না।
সূত্র: জি নিউজ ও টিভি নাইন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



