এস আলমের বাড়ির সামনে ব্যাংক কর্মকর্তাদের অবস্থান

জুমবাংলা ডেস্ক : বিনিয়োগের বকেয়া অর্থ আদায়ে এবার ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এবং এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের বাড়ির সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

Chittagong

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর সুগন্ধা আবাসিক এলাকায় এস আলমের বাসার সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ব্যাংকটির চট্টগ্রাম অঞ্চল ও নগরের ১১টি শাখার প্রায় ১০০ কর্মকর্তা। এর আগে এ মাসের শুরুতে নগরীর আছদগঞ্জ এলাকায় এস আলমের করপোরেট অফিসের ভেতরে অবস্থান নিয়েছিলেন বিভিন্ন শাখার ব্যবস্থাপকরা।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে সিকদার গ্রুপ থেকে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ যায় এস আলম গ্রুপের কাছে।

এর পর থেকে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম নিজেই। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ব্যাংকটি এস আলমের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয়। সারা দেশে ব্যাংকটির বিনিয়োগ প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এস আলম ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে ব্যাংকটির বিনিয়োগ ৪০ থেকে ৪৫ হাজার কোটি টাকা।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, ‘ব্যাংকের কাজ হলো গ্রাহকদের কাছ থেকে ডিপোজিট নিয়ে অন্যত্র বিনিয়োগ করা। আর বিনিয়োগের টাকা সময়মতো আদায় করা। যদি বিনিয়োগের টাকা সময়মতো আদায় করতে না পারি, তাহলে যারা ডিপোজিট করেছে তাদের টাকা সময়মতো ফেরত দিতে পারি না। ফলে আমাদের একটা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

এটা এখন জাতীয় সংকট। সংকট সমাধানে আমাদের সবচেয়ে বড় গ্রাহক এস আলম গ্রুপ এবং এই গ্রাহকসংশ্লিষ্ট যে বিনিয়োগগুলো আছে তা আদায়ের জন্য প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।’

নগরীর জুবিলী রোড শাখার ব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আলম বলেন, ‘পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তখন যাচাই করে বিনিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। ব্যবস্থাপক কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করার সুযোগ ছিল না। তখনকার পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে আমাদের বিনিয়োগ করতে হয়েছে। এখনকার পরিস্থিতি আর তখনকার পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল।’

ব্যাংকটির নগরীর আগ্রাবাদ শাখার ব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেইন চৌধুরী বলেন, গ্রাহকরা যখন জানতে পেরেছেন তাদের টাকাগুলো সুরক্ষিত নয় তখন তারা একসঙ্গে এসে ডিপোজিট উঠিয়ে নেওয়ার জন্য চাইছেন। কিন্তু একসঙ্গে এত টাকা কোনো ব্যাংকের পক্ষে ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক একটি উদ্যোগ নেওয়ার ফলে কিছু টাকা ফেরত দিতে পারছি। তবে বড় অঙ্কের খেলাপিগুলো আদায়ে আমরা এখানে অবস্থান নিয়েছি।’