জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন-বিপিএসসির অধীনে গত এক যুগে বিসিএসসহ অন্তত ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয়েছে। চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এ তথ্য। যা নিয়ে প্রতিবেদন প্রচারের পর অভিযানে নামে সিআইডি। সব মিলিয়ে অভিযানে গ্রেপ্তার হন বিপিএসসির কর্মকর্তাসহ ১৭ জন।
এ নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিপিএসসি। সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন জানান, গ্রেপ্তার কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। চ্যানেল 24 এ প্রচারিত সংবাদের ভিত্তিতে গঠন করা হয়েছে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি।
তিনি বলেন, আমরাও একটি তদন্ত কমিটি করেছি। তাদেরকে (গঠিত তদন্ত কমিটি) ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার জন্যে বলা হয়েছে।
এদিকে, প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততা নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান। সেই সঙ্গে ঘোষণা দেন তার জড়িত থাকার প্রমাণ দিতে পারলে চাকরি ছেড়ে দেবেন। এমনকি তদন্ত কমিটি সুপারিশ করলে রেলওয়ের পরীক্ষা বাতিল করা হবে বলেও জানান তিনি।
ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার ১৭ জন ছাড়া আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে পল্টন থানায় মামলা করেছে সিআইডি। পল্টন থানার ওসি মনির হোসেন মোল্লা জানান, প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় এখনো পলাতক আছেন ১৮ থেকে ৩১ জন।
এদিকে, রেলের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে সহকারী পরিচালক এস এম আলমগীর কবীরসহ ৫ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে পিএসসি। অন্যদিকে, গত ৫ জুলাই পিএসসির অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা। সেই সঙ্গে প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের আইনের আওতায় আনাসহ ৩ দফা দাবিও জানিয়েছেন তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।