জুমবাংলা ডেস্ক : একটি দুর্ঘটনার পর থেকে স্বপ্নের পদ্মাসেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাস-ট্রাকসহ সব ধরনের যান চলাচল করলেও বাইকারদের জন্য খুলে দেওয়া হয়নি স্বপ্নের সেতুটি। বিকল্প হিসেবে অন্য বাহরে তুলে পারাপার করছেন মোটরসাইকেলের যাত্রীরা। এতে করে যাত্রীদের টাকা খরচ হচ্ছে বেশি এবং রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। তাই নিয়মের মধ্যে দিয়ে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চালু করার বিষয়টি ভাবছে কর্তৃপক্ষ।
যেখানে সেতুতে মোটরসাইকেলের নির্ধারিত টোল ছিল ১০০ টাকা। কিন্তু এখন মিনি ট্রাকে একটি মোটরসাইকেল পার করতে খরচ হচ্ছে ৮০০ থেকে হাজার টাকা। অনুমতি না থাকলেও বিশেষ ব্যবস্থায় পারাপার হয়েই যাচ্ছে মোটরসাইকেল। সম্প্রতি নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেতু কর্তৃপক্ষের এক প্রকৌশলী জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও জানান, এ সংক্রান্ত নথিপত্র প্রস্তুত করে সরকারের উচ্চপর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে। অনুমতি পেলে ঈদুল ফিতরের আগেই পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলতে পারে। মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য সেতুর দুই প্রান্তের আলাদা দুটি লেন করা হতে পারে। ওই লেন দিয়ে চলাচল করবে মোটরসাইকেল। এমনটা বলেন ওই প্রকৌশলী।
এর আগে স্বপ্নের সেতু উদ্বোধনের পর প্রথম দিনে প্রায় ৫০ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ছিল ২৭ হাজার। ওই রাতেই সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই তরুণ নিহত হন। এরপর সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেয় সেতু কর্তৃপক্ষ।
গত ৬ মার্চ সচিবালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘আপাতত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলতে দেওয়া নিয়ে কোনো ভাবনা নেই।’ কিন্তু সেতু কর্তপক্ষ নথিপত্র পাঠিয়ে দেওয়ায় বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে।
জানা যায়, গত সপ্তাহে সেতুর নিরাপত্তা নিয়ে জাজিরার শেখ রাসেল সেনানিবাসে একটি সভা হয়। ওই সভায় সেতু কর্তৃপক্ষ, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সবদিক ভেবে সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের ব্যাপারে লিখিতভাবে সরকারের উচ্চপর্যায়ে তুলে ধরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী লক্ষ্মীকান্ত বিশ্বাস জানান, ‘সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। সিদ্ধান্তটি সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে আসবে। এ সংক্রান্ত নথিপত্রও প্রস্তুত। অনুমতির জন্য আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, কবে নাগাদ সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি মিলবে, তা বলা যাচ্ছে না। তবে আলোচনা হচ্ছে। সেতু কর্তৃপক্ষ ও সেতুর নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কাজ করছে। সেতু দিয়ে সরাসরি নাহলেও আপাতত ট্রাক, ট্রলার ও লঞ্চে মোটরসাইকেল সেতু পারাপার হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।