পোষ্য কোটার প্রতীকী দাফন করলেন রাবি শিক্ষার্থীরা

জুমবাংলা ডেস্ক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা নিয়ে উন্মুক্ত বিতর্ক আয়োজন করা হয়। এতে কোটার পক্ষে শিক্ষক- কর্মকর্তা-কর্মচারী কাউকে অংশ নিতে দেখা যায়নি। বিতর্কের নির্ধারিত সময়ের পর পোষ্য কোটার প্রতীকী দাফন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

posso kotha

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের উত্তর পাশে প্যারিস রোডে পোষ্য কোটার প্রতীকী দাফন এবং মোনাজাত করা হয়।

এর আগে ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী মাইকিং করে ঘোষিত সময়ে বিতর্কের আয়োজন করে পোষ্য কোটার পক্ষে যুক্তি প্রদর্শনের আহ্বান করেন শিক্ষার্থীরা। বিকেল ৪টায় দিকে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মোরশেদুল ইসলাম পিটার, রাজশাহীর স্থানীয় একজন রিকশাচালক এবং ক্যাম্পাসের একজন ব্যবসায়ী।

পোষ্য কোটার প্রতীকী দাফন করে সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আজাদ বলেন, ১৯৭৭ সালে পোষ্য কোটা চালু হয়েছিল। যার আমরা আজ প্রতীকী কবর রচনা করলাম। আমরা বিশ্বাস করি এ কবর রচনার মধ্যে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নয়; তাদের সুবুদ্ধির উদয় হবে।

এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, পোষ্য কোটা আমাদের যৌক্তিক একটি দাবি ছিল। এ আন্দোলনে কোনো রাজনৈতিক কিছু নেই। কিন্তু এ কোটার পক্ষে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতপন্থি শিক্ষকরা সবাই এক। যাদের কাঁধে হাত রেখে আমরা জুলাই আন্দোলন করেছিলাম। তারা এখন এ পোষ্য কোটা আন্দোলনে নেই। এটি খুবই হতাশ করেছে।

গোল্ডেন গ্লোবসের ৮২তম আসরে ইতিহাস গড়লেন ভারতের পায়েল

উল্লেখ্য, রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে শিক্ষকদের উদ্দেশে পোষ্য কোটার যৌক্তিকতা নিয়ে ‘উন্মুক্ত বিতর্ক’র আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।