জুমবাংলা ডেস্ক : কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে জবির জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর এই তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৭ তম সিন্ডিকেট সভায় (জরুরি) সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম। সভায় কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সংঘর্ষে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে আহত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫ এর ১০ (১০) ধারার ক্ষমতাবলে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তবে, সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম যথারীতি চলমান থাকবে। একই সঙ্গে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে অবস্থানরত সকল শিক্ষার্থীকে নিরাপত্তার স্বার্থে বিকাল সাড়ে ৪টার মধ্যে হল ত্যাগ করে নিরাপদ আবাসস্থলে যাওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়াও কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সমাধানের জন্য সরকারের কাছে আহবান জানানো হয়।
এর আগে জবির হল বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হলেও পরবর্তীতে সেই খবর প্রকাশ না করার অনুরোধ জানানো হয় জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর থেকে। পরবর্তীতে আগের বিজ্ঞপ্তিটি কিছুটা সংশোধন করে বিকাল ৩টার দিকে চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়।
এদিকে হল ছাড়ার নির্দেশের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা হল ছেড়ে যাবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।