বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : প্রযুক্তির অন্যতম আবিষ্কার এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের মস্তিষ্কের মতো করে কাজ করে। এআইয়ের অন্যতম উদাহরণ চ্যাটজিপিটি। এছাড়া চ্যাটজিপিটিকে টেক্কা দিতে গুগল নিয়ে এসেছে তাদের এআই চ্যাটবট বার্ড। এমনকি মেটাও একটি চ্যাটবট নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
তবে চ্যাটজিপিটি এখন অন্য কারণে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। জানেন কি? চ্যাটজিপিটি একবার চ্যাট করার পরই তার আধা লিটার পানি পান করতে হয়! আপনি যেমন তেষ্টা মেটাতে কথোপকথন শেষে পানি পান করেন ঠিক সেভাবে চ্যাটজিপিটিরও পানির দরকার হয়।
সম্প্রতি চ্যাটজিপিটি ট্রেনিংয়ের পেছনে যে শক্তি খরচ হয় তার ওপর একটা গবেষণা চালানো হয়েছিল। মেকিং এআই লেস থার্স্টি নামক এক সংস্থা এই গবেষণা চালায়। সেখানেই চ্যাটজিপিটির পানির খরচ সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে।
মেকিং এআই লেস থার্স্টি নামক সংস্থার গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রোসফট স্টেট অব দ্য আর্ট ডেটা সেন্টারেচ্যাটজিপিটি ট্রেনিংয়ের পেছনে প্রতিদিন ৭ লাখ লিটার পানি খরচ হয়! এশিয়াতে যেসব ডেটা সেন্টার রয়েছে, সেখানে আরও বেশি পানি খরচ হয় বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
অনেকেই হয়তো ভাবছেন চ্যাটজিপিটি তৃষ্ণা মেটাতে পানিটা ব্যবহার করে কীভাবে? আসলে চ্যাটজিপিটিকে বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী করে তুলতে বিভিন্ন জায়গায় ডেটা সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। সেসব ডেটা সেন্টারে সার্ভার পরিচালনা করতে প্রয়োজন প্রচুর শক্তির। প্রয়োজন পড়ে পর্যাপ্ত কুলিং সিস্টেমের। যে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়, সেটা তৈরি হয় পানি থেকেই। সেই পানি খরচের মোট হিসাব থেকেই জানা গেছে চ্যাটজিপিটির এমন বিপুল পানি খরচের কথা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।