লাইফস্টাইল ডেস্ক : আপনি যখনই কোন শোরুমে দেয়াল ঘড়ি বা হাত ঘড়ি দেখেছেন তাতে নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন ১০টা বেজে ১০ মিনিট। এই বিশেষ সময়ের পেছনে রয়েছে অনেক গল্প। এই প্রতিবেদনে এই সময় সম্পর্কে ছড়িয়ে পড়া অনেক ঘটনা, গল্প এবং যুক্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে।
ছোটবেলায় যখন কাউকে জিজ্ঞাসা করা হতো যে শোরুমের ঘড়িতে সবসময় ১০টা ১০ মিনিট বাজে কেন? তখন বেশিরভাগ উত্তর পাওয়া যেত এই সময়ে ঘড়ির আবিষ্কার হয়েছিল। তার সম্মানে ঘড়ির নির্মাতাদের দ্বারা নির্বাচিত হয়েছে, কিন্তু এটা মোটেও সত্যি নয়।
ঘড়ির কাঁটা যখন ১০:১০ থাকে তখন কাঁটাটি ‘V’ চিহ্ন তৈরি করে, যা বিজয়ের প্রতীক হিসেবে দেখায় এবং ঘড়িটি দেখে মনে হয় হাসছে। এটি অনেক কারণের মধ্যে একটি হতে পারে কিন্তু এর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে কোনও প্রমাণ নেই।
কিছু বিশেষজ্ঞদের মতে ১০:১০ সময়টি প্রস্তুতকারদের দ্বারা বেছে নেওয়া হয়েছে, কারণ প্রস্তুতকারকেরা তাদের নাম ১২ টার চিহ্নের নিচে লেখেন। এর ফলে তৎক্ষণাৎ নির্মাতাদের নাম লোকেদের চোখে পড়ে এবং তারা ঘড়িটি কেনার সিদ্ধান্ত নেন। তাই কোম্পানির বিপণনের জন্য সময়ও ১০:১০ করা হয়েছে।
এছাড়াও কেউ কেউ বিশ্বাস করেন, ১০:১০ সময়টি বেছে নেওয়া হয়েছে কারণ এই সময়ে হিরোশিমায় পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছিল। তাই ঘড়ি নির্মাতারা এই সময়টিকে বেছে নিয়েছেন এই হামলায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি সহানুভূতি জানাতে। কিন্তু ঘটনাটি সত্যি নয়, কারণ পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছিল স্থানীয় সময় ৮:১০ এ।
রিলিজ হল ঘাম ঝরানোর নতুন ওয়েব সিরিজ, ভুলেও কারও সামনে দেখবেন না
আবার কেউ কেউ দাবি করেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন যখন গুলিবিদ্ধ হন তখন তাঁর পকেটঘড়িটির মধ্যে গুলি লাগে এবং সেটি দশটা বেজে দশ মিনিটে দেখাচ্ছিল। তাই তারপর থেকে সারা পৃথিবীর সব ঘড়িতেই ওই সময় দেখানো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।