জুমবাংলা ডেস্ক : হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার কাচুয়া আমকান্দিতে বাড়ির সামনে পতিত জমি আবাদ করে নানা জাতের কুলচাষে চমক দেখালেন কবির মিয়া।
দুই বছর আগে তিনি প্রায় এক বিঘা জমিতে কুলের চারা রোপণ করেন। রোপণের এক বছর পর গাছে গাছে কুল শোভা পায়। লাভজনক হওয়ায় আরও এক বিঘা জমিতে কুল গাছ রোপণ করেন। এ মৌসুমে গাছ থেকে কুল সংগ্রহ করে বিক্রি করেছেন প্রায় ৯ লাখ টাকা। এখানে কুল চাষে তার প্রায় আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সরেজমিন তার সঙ্গে আলাপে এসব তথ্য জানা গেছে।
কবির মিয়ার ভাই সাজিদ মিয়া জানান, বর্তমানে দুই বিঘা জমিতে প্রায় ৪০০ কুল গাছ রয়েছে। এ মৌসুমে প্রত্যেকটি গাছ থেকে প্রচুর কুল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। এর আগে এ জমি প্রায় পতিত ছিলো। এখানের চাষে সফলতা দেখে আশেপাশে বিভিন্ন স্থানে কুলচাষ শুরু হয়েছে।
কৃষক কবির মিয়া জানান, গাছে গাছে কুল ছিলো। গাছ থেকে কুল সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। পাইকাররা ক্ষেতে এসে কুল ক্রয় করে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি তারাও লাভবান হয়েছেন।
তিনি জানান, কোনো প্রশিক্ষণ ছিল না। ফেসবুক দেখে তিনি উৎসাহিত হয়ে কুল চাষ করেন। প্রথম বছরেই লাভ হয় ৩ লাখ টাকা। এ মৌসুমে ২ বিঘা জমিতে চাষ করেন। প্রতিকেজি কুল পাইকারি ১১০ টাকা ও খুচরা ১২০ টাকা করে বিক্রি করা হয়। কুল ক্ষেত পরিচর্যায় জন্য ১৪ থেকে ১৫ জন শ্রমিক কাজ করেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, শ্রম আর চেষ্টায় সুফল আসে। কুল চাষে তার প্রমাণ দেখালেন কবির মিয়া। তার গাছের কুল খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। পাইকাররা ক্ষেতে এসে কুল ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। কুল বিক্রি করে কবির মিয়ার পাশাপাশি পাইকাররাও লাভবান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলার নানা স্থানে কৃষকরা এ মৌসুমে প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের কুল চাষ করেছেন। কৃষক কবির মিয়া খুবই পরিশ্রমী। তিনি তার কাজের প্রতি যথেষ্ট আন্তরিক। কয়েক বছর ধরে তিনি কুল চাষ করছেন।
কোন জিনিস ভিতরে যাওয়ার সময় শক্ত থাকে, আর বেরিয়ে আসার সময় নরম হয়ে যায়
এ বছর তার ক্ষেতে ভাল ফলন হয়েছে। আমরা তার কুল ক্ষেত পরিদর্শনসহ খোঁজ-খবর নিয়েছি। নতুন করেও কেউ যদি কুল চাষে আগ্রহী হয়, উপজেলা কৃষি অফিস সব সময় তার পাশে থাকবে। মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। এ কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কুল চাষ বাড়ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।