জুমবাংলা ডেস্ক : চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় পটলের বাম্পার ফলন হলেও টানা কয়েকদিনের বর্ষণের ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পটলের জমির। যার ফলে বাজারে পটলের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমে গিয়েছে। আর হঠাৎ করে দাম কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে চাষিরা।
জানা যায়, বিঘা প্রতি পটল চাষ করতে খরচ হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। তাছাড়া প্রতি বিঘা জমির উৎপাদিত পটল ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায় বিক্রির আশা ছিল চাষিদের। কিন্তু বর্তমানে প্রতি কেজি পটল বিক্রি করছেন ৬ থেকে ৭ টাকায়। প্রতিমণ পটল বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে পটলের আবাদ হয়েছে। এদিকে শুধু সদর উপজেলায় পটলের আবাদ হয়েছে ৬২ হেক্টর জমিতে।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের উত্তর নওয়াবস গ্রামের পটল চাষী নুর ইসলাম বলেন, ১ বিঘা জমিতে পটল চাষ করি। প্রথমে ভালো দাম পেলেও এখন দাম পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা প্রতি মণ পটল বিক্রি করছি। আবার বৃষ্টির কারণে পটলের গাছও মরে যাচ্ছে।
সিতাইঝাড় গ্রামের মোহাম্মদ আলী বলেন, বৃষ্টির কারণে পটলের গাছ মরে যাচ্ছে, ক্ষেতে পানি জমেছে। বর্তমানে পটল বাইরের জেলাতে না যাওয়ার কারণে দাম অনেক কমেছে। না বিক্রি করে তো কোনো লাভ নেই, যা পাচ্ছি তাই লাভ, এতো পটল কী করব আমরা।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল রশিদ বলেন, যে সময় বাজারে কোনো সবজির উৎপাদন বেশি হয় ঠিক সে সময়ে দামটা একটু কমে যায়। বর্তমানে বাজারে ৭-৮ টাকা প্রতি কেজি পটল বিক্রি করছেন চাষিরা। কৃষকরা এতো টাকা পয়সা খরচ করে যদি ন্যায্য মূল্য না পায় তা তো অবশ্যই হতাশার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।