আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ৫৮ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড। বিশ্বের দীর্ঘতম চুম্বন এতটাই লম্বা। প্রায় তিন দিন ধরে একটানা হয়ে চলা এই চুম্বন পর্ব এখনও দখল করে রেখেছে শীর্ষস্থান। এই কৃতিত্বের অধিকারী তাইল্যান্ডের এক দম্পতি এক্কাচাই এবং লাকসানা তিরানারাত। তবে এই চুম্বন পর্ব নতুন নয়। ২০১৩ সালে তাইল্যান্ডের পাটায়া শহরে আয়োজিত একটি চুম্বন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন এই দম্পতি।
ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বাকি প্রতিযোগীরা মাঝপথে হাল ছেড়ে দিলেও, লড়ে গিয়েছেন ওই দু’জন। এক মুহূর্তের জন্য অন্যের ঠোঁট থেকে ঠোঁট সরাননি কেউই। পরমতৃপ্তিতে চোখের পাতা বুজে তিন দিন ধরে শুধু ভালবাসার আস্বাদ নিয়ে গিয়েছেন দু’জনে।
পাটায়া শহরে আয়োজিত ওই চুম্বন প্রতিযোগিতায় এক্কাচাই ও লাকসানা ছাড়াও অংশ নিয়েছিলেন আরও ন’জন দম্পতি। তাঁদের মধ্যে এক প্রবীণ দম্পতিও ছিলেন। খাওয়াদাওয়ায় যাতে বিঘ্ন না ঘটে, তার জন্য স্ট্র দিয়ে জুস এবং খাবার খাওয়ার ব্যবস্থাও ছিল। তাইল্যান্ডের এই দম্পতির আগে সবচেয়ে দীর্ঘ চু’মুর রেকর্ড গড়েছিলেন এক সমপ্রেমী পুরুষ দম্পতি। প্রায় ৫১ ঘণ্টা ধরে ঠোঁটে ঠোঁটে ব্যারিকেড গডেছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাইল্যান্ডের এই দম্পতির রেকর্ড এখনও পর্যন্ত টপকাতে পারেননি কেউই।
প্রেমের সম্পর্কে পরস্পরের অনুভূতি প্রকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল চু’মু। প্রিয়জনকে বলতে না পারা অনেক মনের কথা চু’মুর মধ্যে দিয়ে যেন শব্দ হয়ে ঝরে পড়ে। সম্পর্কের ভিত শক্ত করতে তো বটেই, সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও দারুণ ভূমিকা পালন করে চু’মু। প্রতি দিন চু’মু খেলে ভাল থাকবে স্বাস্থ্য। মন থাকবে খুশি। উদ্যম আসবে জীবনে। আর কী কী ভাবে সাহায্য করে চু’মু?
১) চুম্ব’নের মুহূর্তে মস্তিষ্কের কর্টিসলের মাত্রা কমে যায়। যা ‘স্ট্রেস হরমোন’ নামে পরিচিত। পরিবর্তে শরীরে ক্ষরিত হয় ‘অক্সিটোসিন’, ‘সেরাটোনিন’ ‘ডোপামিন’ হরমোন। এই হরমোনগুলি মন, শরীর এবং মস্তিষ্ক ভাল রাখতে সাহায্য করে। তাই চু’মু খাওয়ার সময়ে প্রগা়ঢ় শান্তিতে বুজে আসে চোখ।
২) চু’মু খাওয়ার সময়ে মুখের ভিতরে লালা গ্রন্থির ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। এর ফলে দাঁতের আস্তরণ সৃষ্টিকারী পদার্থগুলি জমতে পারে না। বিভিন্ন কারণে দাঁতে যে গর্ত তৈরি হয়, চু’মু খাওয়ার ফলে সেই গর্ত তৈরি হওয়ার আশঙ্কা কমে।
৩) চুম্বনের সময়ে মুখের পেশিগুলি বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। চু’মু খাওয়ার ফলে এক ধরনের ব্যায়ামও হয়ে যায়। চু’মু খেলে প্রতি মিনিটে প্রায় অনেকটা পরিমাণে ক্যালোরি খরচ হয়। কাজেই বা়ড়তি মেদ ঝরিয়ে ত্বক টানটান রাখতে জিমে যাওয়ার বিকল্প রয়েছে।
বৃদ্ধ বয়সে সুন্দরী অভিনেত্রীদের সাথে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য ঝড় তুলেছেন এই অভিনেতারা
৪) চুম্ব’নের সময়ে হৃদ্স্পন্দন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। শিরা, ধমনীগুলি প্রসারিত হয়। শরীরে রক্ত স্বাভাবিক ও স্বচ্ছন্দগতিতে প্রবাহিত পারে। এর ফলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।