লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রেম করে মা-বাবাকে না জানিয়ে বিয়ে করে ফেলার দিন শেষ হতে যাচ্ছে। পালিয়ে বিয়ের ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের সম্মতি নেয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে নীতিমালা তৈরির চিন্তাভাবনা শুরু করেছে ভারতের গুজরাট সরকার। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব জানিয়েছেন, প্রেম করে বিয়ের ক্ষেত্রে যাতে বাবা মায়ের সম্মতি বাধ্যতামূলক করা হয় সে ব্যাপারে তার সরকার এবার একটি সিস্টেম তৈরির চিন্তাভাবনা করছে।
রবিবার (৩০ জুলাই) গুজরাটের মহাসেনাতে সর্দার পটেল গ্রুপের একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাকে জানিয়েছেন, একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গেছে বিয়ের জন্য মেয়েরা পালিয়ে যাচ্ছে। এমন সব প্রেমের বিয়ের ক্ষেত্রে এবার বাবা-মায়ের সম্মতিটা খুব প্রয়োজন হতে পারে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঋষিকেশ পাটেল আমাকে বলছিলেন বিয়ের জন্য মেয়েরা সব পালাচ্ছে। সেক্ষেত্রে এই প্রেমের বিয়ের ক্ষেত্রে বাবা-মা, অভিভাবকদের সম্মতি বাধ্যতামূলক করা যায় কি না সেটা দেখা দরকার। যদি সংবিধান এক্ষেত্রে আমাদের সমর্থন করে তবে এ নিয়ে আমরা সমীক্ষা চালিয়ে দেখব। যাতে সবচেয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া যায় সেটা আমরা চেষ্টা করে দেখব।
তবে ইতোমধ্যে বিরোধী কংগ্রেস এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে। কংগ্রেস বিধায়ক ইমরান খান্ডেওয়ালা জানিয়েছেন, একটা সময় ছিল যখন প্রেমের বিয়ের ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের কোনও ভূমিকা থাকে না, তবে এবার সরকার চিন্তাভাবনা করছে যাতে এটি নিয়ে একটা নির্দিষ্ট সিস্টেম তৈরি করা যায়। যাতে সাংবিধানিকভাবে বিষয়টি ঠিকঠাকভাবে মানা হয়।
তবে অনেকের মতে, সাধারণত প্রেমের বিয়ের ক্ষেত্রে অনেকে পালিয়ে গিয়ে, অভিভাবকদের সম্মতি ছাড়াই ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে বাকি জীবনটা কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে বাবা মায়ের সম্মতির জন্য অপেক্ষা করতে হলে অনেকটাই দেরি হয়ে যাবে। বা আদৌ বাবা মায়েরা সেই বিয়েতে সম্মতি দেবেন কি না তা নিয়েও সন্দেহ থেকে যায়।
বয়স বাড়লেও কমেনি মহেশ ভাটের যৌবনের জ্বালা, মনীষার শরীরে নোংরা স্পর্শের ভিডিও ভাইরাল
তবে গুজরাট সরকার এর আগে ২০২১ সালে গুজরাট ফ্রিডম অফ রিলিজিয়ন অ্যাক্টের সংশোধনী আনে। বিয়ের মাধ্যমে যদি জোর করে ধর্মান্তরিতকরণের চেষ্টা করা হয় তবে সেটা অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। সেক্ষেত্রে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত হাইকোর্ট এই আইনের কিছু ধারায় স্থগিতাদেশ জারি করে। তবে সেটা আবার সুপ্রিম কোর্টে যায়। তা নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।