বিনোদন ডেস্ক : ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার ভরত রেড্ডি। ১৯৭৮-১৯৮১ সাল পর্যন্ত একাধিক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তার কন্যা অভিনেত্রী শ্রিয়া রেড্ডি। শৈশব থেকেই ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ তার। জাতীয় স্তরের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন ম্যাচও খেলেছেন।
তেলেগু সিনেমার এ নায়িকার ক্রিকেট নিয়ে স্বপ্ন থাকলেও তা অধরাই রয়ে গেছে। এক সাক্ষাৎকারে শ্রিয়া বলেছিলেন, ‘আমি যদি ছেলে হয়ে জন্ম নিতাম, তাহলে অভিনয় করতাম না, ক্রিকেটার হতাম। আমি এখনো ক্রিকেট ভালোবাসি। সিনেমা দেখা বাদ দিয়েও আমি ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে পছন্দ করি।’
খ্যাতনামা ক্রিকেটাররা শ্রিয়াদের বাড়িতে যেতেন। তা স্মরণ করে এ অভিনেত্রী বলেছিলেন,‘আমি যখন ছোট ছিলাম তখন, আমাদের বাড়িতে রবি শাস্ত্রী এবং সন্দীপ পাতিল এসেছিলেন। ওনারা বাবাকে জানিয়েছিলেন যে, আমার কণ্ঠস্বর সুন্দর। তাদের এই মন্তব্য আমার কাছে মূল্যবান।’
চেন্নাইয়ের স্কুল-কলেজে পড়াশোনা শেষ করেন শ্রিয়া। স্কুলে পড়াকালীন বিভিন্ন জায়গা থেকে মডেলিংয়ের প্রস্তাব পান। কিন্তু তার বাবা চাইতেন, পড়াশোনা শেষ করে মেয়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়ুক। তাই মডেলিংয়ে নামতে দেননি শ্রিয়াকে। ১৮ বছর বয়সে ভিডিও জকি হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন শ্রিয়া। তার পাশাপাশি একাধিক গানের অনুষ্ঠানের সঞ্চালনাও করতেন তিনি। ধীরে ধীরে জকি হিসেবেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
রেডিও জকি হিসেবে কাজ করতে গিয়ে একটি তেলুগু সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পান শ্রিয়া। অভিনয়ে নামার ইচ্ছা থাকলেও আপত্তি জানান তার বাবা। একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, তার বাবা যখন ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন সিনেমার প্রস্তাব গ্রহণ করে চুক্তিস্বাক্ষর সেরে ফেলেন তিনি। পরে তার বাবা জানতে পারলে শ্রিয়ার উপর রেগে যান।
২০০২ সালে তামিল ভাষার ‘সামুরাই’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন শ্রিয়া। এতে পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে। তার পরের বছর তেলেগু ভাষার একটি সিনেমায় মূখ্যচরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। কিন্তু মুক্তির পর সিনেমাটি বক্স অফিসে সফল হয়নি। ২০০৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় শ্রিয়া অভিনীত ‘ব্ল্যাক’ শিরোনামে একটি মালায়লাম সিনেমা। মামুত্তি অভিনীত এই সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান শ্রিয়া। এ সিনেমা শ্রিয়ার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট।
২০০৬ সালে ‘থিমিরু’ সিনেমায় অভিনয় করেন শ্রিয়া। এ সিনেমা প্রযোজনা করেন বিক্রম কৃষ্ণ। সিনেমাটির শুটিং চলাকালীন শ্রিয়ার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে বিক্রমের। সেই বন্ধুত্ব প্রেমে রূপ নেয়। দু’বছর বিক্রমের সঙ্গে সম্পর্কে থাকার পর সাতপাকে বাঁধা পড়েন তারা। ২০০৮ সালের ৯ মার্চ চেন্নাইয়ে বিয়ে করেন।
শ্রিয়ার বিয়ের বছরে মুক্তি পায় ‘কাঞ্চিভরম’। এ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রশংসা কুড়ান তিনি। শ্রিয়া যখন তার ক্যারিয়ারে সাফল্যের চূড়ায়, তখনই অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরের বিরতির পর গত বছর প্রভাসের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয়ে ফিরেন শ্রিয়া। বর্তমানে তার হাতে দুটো সিনেমার কাজ রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।