জুমবাংলা ডেস্ক : দুই বছরের প্রেম। এর মাঝে দেখাও হয়েছে বেশ কয়েকবার। তবে এই প্রেম উপেক্ষা করে অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন প্রেমিক রাসেল মাহমুদ। এই খবর শুনে তার বাড়িতে উঠেছেন কলেজ পড়ুয়া প্রেমিকা সুইটি আক্তার। তার (প্রেমিকার) উপস্থিতি দেখে দৌড়ে পালিয়ে যান প্রেমিক। এতে পণ্ড হয় বিয়ের সব আয়োজন।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকালে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের মানকি নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রেমিকা সুইটি আক্তার এখনো ওই বাড়িতেই অবস্থান করছেন। প্রেমিক রাসেল ওই এলাকার আমির হামজার ছেলে। প্রেমিকা সুইটি আক্তারের বাড়ি একই জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া এলাকায়।
স্থানীয়রা জানান, মেলান্দহ উপজেলার মাহমুর এলাকায় বিয়ে ঠিক হয় রাসেলের। বুধবার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হয়। এ খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে প্রেমিক রাসলের বাড়িতে প্রেমিকা সুইটি আক্তার চলে আসেন। বাড়ির সামনের রাস্তায় প্রেমিকা সুইটি আক্তার ও রাসেলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। প্রেমিক রাসেল যেদিকে যায় প্রেমিকাও সেদিকে যায়।
প্রেমিকা বারবার বলছেন, আমাকে বিয়ে না করলে আমি এখানেই আত্মহত্যা করব। একপর্যায়ে রাসেলের বাড়ির ভেতরে ঢুকেন তারা। এ সময় প্রেমিক কৌশলে বাড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যান। পরে তার পরিবারের লোকজন প্রেমিকা সুইটি আক্তারকে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের করে দিতে ব্যর্থ হন। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়।
জানা যায়, কয়েকদিন আগে গোপনে রাসেল মাহমুদের বিয়ে ঠিক হয়। বিয়েতে ৮ লাখ টাকা যৌতুকও দেওয়ার কথা হয়। এরমধ্যে যৌতুকের কিছু টাকা ছেলের পরিবারকে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বরযাত্রা নিয়ে যাওয়ার কথা। সেই মূহূর্তে প্রেমিকের বাড়িতে হাজির হন প্রেমিকা সুইটি আক্তার। এতেই বিয়ের সব আয়োজন মুহূর্তেই পণ্ড হয়ে যায়।
সুইটি আক্তার বলেন, প্রায় দুই বছর আগে বিয়ের জন্য পারিবারিকভাবে আমাকে দেখতে বাড়িতে যান রাসেল। ওই সময় মোবাইল নম্বর নেন তিনি। তার কিছুদিন পরে মোবাইলে আমাদের যোগাযোগ হয়। একপর্যায়ে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর থেকে আমাদের সম্পর্ক চলছিল। সম্পর্ক চলাকালে জামালপুর শহরে বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে। আমাদের বাড়িতে গিয়েছিল।
আমার পরিবারের সবার সঙ্গেই পরিচিত। আমিও তাদের পরিবারের সবার সঙ্গে মোবাইলে অনেকবার কথা বলেছি। বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে দেখা করেছে বারবার। রাসেল বুধবার রাতে আমাকে ফোন দিয়ে বিয়ে ঠিক হইছে বলে জানান এবং আমাকে বাড়িতে আসতে বলেন। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বাড়িতে আসলে রাসেল পালিয়ে যান। এ অবস্থায় আমার তো আর বাড়িতে ফিরে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। আমাকে এখানেই থাকতে হবে। আমাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই।
ছেলের বাবা আমির হামজা বলেন, জোর করেই আমাদের বাড়িতে উঠেছে। তার সঙ্গে আমার ছেলের কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই।
রোমান্সে পরিপূর্ণ এই ওয়েব সিরিজ, ভুলেও বাচ্চাদের কারও সামনে দেখবেন না
মেলান্দহ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মদন সিংহ বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। মেয়ে এবং ছেলের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। ছেলের পরিবার অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মেয়েকে আইনি সহায়তার জন্য থানায় যেতে বলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।