জুমবাংলা ডেস্ক : প্রেমিককে ছেড়ে তাঁর বাবার সঙ্গে থাকতে পালিয়ে যান এক তরুণী। দীর্ঘদিন বেপাত্তা থাকার পর খোঁজ মিলেছে তাঁদের। তারপর কী হল জানেন? সম্পর্ক ছিল অনেকদিনের। প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল বিয়েরও। কিন্তু আচমকাই বেপাত্তা পাত্রী। তবে কী হবু বরের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করে নিলেন তিনি? না, প্রেমিক নয়। বরং, তাঁর বাবাকেই যে মনে ধরেছিল তাঁর। তাই প্রেমিকের বাবার সঙ্গেই ঘর ছাড়েন তরুণী। এমনই এক ঘটনা সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। সেখানেই বছর কুড়ির এক তরুণী তাঁর প্রেমিকের বাবার সঙ্গে পালিয়ে যান। 2022 সালের মার্চে ঘর ছাড়ার পর এক বছরের বেশি ধরে ওই তরুণী তাঁর 50 ছুঁইছুঁই ‘মনের মানুষের’ সঙ্গে নিঁখোজ ছিলেন। সম্প্রতি তাঁদেরকে একসঙ্গে খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। ঘটনাটিতে প্রেফতারও করা হয়েছে প্রৌঢ়কে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর কানপুরের বাসিন্দা কমলেশ তাঁর কুড়ি বছরের ছেলের প্রেমিকার সঙ্গে আচমকাই পালিয়ে যান। ঘটনাটিতে তরুণীর পরিবার কানপুরের চাকেরি থানায় কমলেশের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করে। কিন্তু দীর্ঘ এক বছর ধরে অনেক খোঁজার পরও তাঁদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। অবশেষ সম্প্রতি দিল্লি থেকে যুগলকে হাতেনাতে পাকড়াও করে পুলিশ।
ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছিল? সমবয়সী প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অমিতের। দুজনের মধ্যে তেমন কোনো সমস্য়াও ছিল না। তরুণীর প্রায়ই প্রমিক অমিতের বাড়িতে যাতায়াত ছিল। আর এভাবেই কমলেশের সঙ্গে আলাপ হয় তরুণীর। ধীরে ধীরে প্রেমিককে লুকিয়ে তাঁর বাবার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এমনকী দুজনে ঘর ছাড়ারও পরিকল্পনা করেন। আর সেইমতোই গত বছর সকলের চোখকে ধুলো দিয়ে তরুণী তাঁর প্রেমিকের বাবার সঙ্গে পালিয়ে যান। গত এক বছর ধরে তাঁরা একসঙ্গে ভাড়াবাড়িতে ছিলেন বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ।
কথায় বলে, ভালোবাসা বয়স, জাত, ধর্ম কোনো বাধাই মানে না। যেমনটা নাকি হয়েছে কমলেশ এবং তাঁর ছেলের প্রেমিকার সম্পর্কেও। এমনটাই দাবি করেছেন তাঁরা। পুলিশকে কমলেশ এবং তাঁর ছেলের বয়সী প্রেমিকা জানিয়েছেন, তাঁরা পরস্পরকে ভালবাসেন এবং একসঙ্গে থাকতে চান। প্রেমিকের বাড়িতে যাতায়াতের সময়ে তাঁর বাবার সঙ্গে সময় কাটানোর আগ্রহ বেড়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি তরুণীর। যদিও আপাতত অপহরণের অভিযোগে হাজতবাসে কমলেশ।
এদিকে ঘটনাটি নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই বেশ চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। কেউ কেউ যেমন বেশ মজার ছলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আবার অনেকেই প্রেমিককে বিশ্বাসঘাতকতা করার জন্য সমালোচনাও করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।