বিনোদন ডেস্ক : দেখতে দেখতে ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ৪০ টা বছর কাটিয়ে ফেললেন প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী। অভিনয়ে তার হাতেখড়ি হয়েছিল খুব কম বয়সে। শিশু অভিনেতা হিসেবে বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জীর ছেলে প্রসেনজিৎ পা রেখেছিলেন অভিনয় দুনিয়াতে। যেন সুপারস্টার হওয়ার জন্যই জন্ম হয়েছিল তার। একটু বড় হতেই যখন নায়ক হিসেবে তার প্রবেশ ঘটলো ইন্ডাস্ট্রিতে তখন মানুষ তাকে দুই হাত বাড়িয়ে গ্রহণ করেন।
এতগুলো বছরে প্রসেনজিতের জনপ্রিয়তা বেড়েছে বই কমেনি। সদ্য টলিউডের গণ্ডি পেরিয়ে বলিউডেও পা রেখেছেন তিনি। সেখানেও তিনি হয়েছেন সুপারহিট। তবে তার ব্যক্তিগত জীবনকে ঘিরে রয়েছে অনেক বিতর্ক। একবার নয়, দুবার নয়, পরপর তিনবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তিনি। তার মধ্যে তার প্রথম স্ত্রী ছিলেন দেবশ্রী রায়।
দেবশ্রী রায় এবং প্রসেনজিৎ ছিলেন ছোটবেলার বন্ধু। বড় হয়ে দুজনেই টলিউডের সুপারস্টার হয়ে উঠেছিলেন। ৯০ এর দশকে তাদের ভালবাসার সম্পর্ক পরিণতি পায়। কিন্তু মাত্র তিন বছরের মধ্যেই ভেঙে ছিল তাদের সুখী বিবাহ জীবন। প্রসেনজিতের এবং দেবশ্রীর সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া নিয়ে রয়েছে অনেক জল্পনা। তার মধ্যে সত্যি কোনটা?
দেবশ্রী এবং প্রসেনজিতের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর মুখে কার্যত কুলুপ এঁটে নেন দুজনেই। তাই তাদের নিয়ে কানাঘুষো ছড়াতে শুরু করে। কয়েক দশক পেরিয়ে আসার পর নিজের ফেলে আসা জীবনের কিছু ভুল কার্যত স্বীকার করে নেন প্রসেনজিৎ। প্রসেনজিৎ বলেন, “তিনটে বিয়ের মধ্যে যেটা প্রথম, মানে ছোটবেলার সম্পর্ক, সেটা যখন ভেঙে যায় আমি দেড় বছর বাড়ি থেকে বেরোইনি।”
অভিনেতা আরও বলেন, “আমি ফ্ল্যাটের দরজা খুলিনি। তারপর একদিন মনে করলাম নিজেকে নিজেই বন্দি করে কী লাভ? আমাকে তো সকলের সামনে আসতে হবে। যদি আরও ৫ বছর পর বিয়ে করতাম পরিণতভাবে তাহলে এই বিষয়গুলো সামলাতে পারতাম। কিন্তু আমি কখনও কোনও জায়গায় কাউকে দোষ দিইনি। সব দোষ আমার। বিয়ে ভাঙার পর মনে হয়েছিল আমি সকলের সামনে যাব কী করে?”
আবার দেবশ্রীর পর অপর্ণা গুহ ঠাকুরতা কে বিয়ের পরেও ঘটেছিল একই ঘটনা। কিছুদিনের মধ্যেই তাদের সংসার ভেঙে যায়। তারপর তিনি বিয়ে করেন অর্পিতা চ্যাটার্জী। এখন প্রসেনজিতের একটা ছোট্ট সুখের সংসার হয়েছে। এখন যদিও বা দেবশ্রীর সঙ্গে দেখা হয় তাহলে ওঁর সাথে কথা বলতে কোনও আপত্তি নেই প্রসেনজিতের। তার কথায়, “অনেকগুলো বছর কেটে গিয়েছে। মিশুকেরও বান্ধবী হয়ে গিয়েছে। তাহলে কেন নয়?”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।