ড. মো. শরফ উদ্দিন : বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এই ব্যাগিং পদ্ধতিতে প্রতিমণ আমে ৫০০ টাকা বেশি লাভ সম্ভব।
ব্যাগিং এবং নন-ব্যাগিং দুই ধরনের আম আছে। ব্যাগিং এমন একটা প্রযুক্তি যেটা সব আমে দেওয়া যায় না। কেউ কেউ আবার মনে করতে পারেন, এটা আবার কেন দেওয়া যায় না?
তাহলে বলতে হবে, আসলে যে আমগুলো ছোট থেকেই কোন ধরনের দাগ থাকে। আকরে ছোট থাকে যেটা থেকে কখনোই ভালো আম সম্ভব না। তখন সে আমে ব্যাগিং করা লাভজনক হবে না।
অনেক সময় আমের পুরোপুরি আকার থাকেনা। এইসব আমে ব্যাগিং করতে বলি না। কারণ বাণিজ্যিকভাবে সফল হওয়া সম্ভব হবে না। এরপ আমগুলো নন-ব্যাংকিং থাকে।
আমে বিভিন্ন ধরনের পোকা লাগতে পারে, আমের রং নষ্ট হতে পারে এই ধরনের সমস্যা সমাধান করার জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। যেটার মাধ্যমে কোনো কিছুর খরচ ছাড়াই দাগবিহীন সুন্দর গুণগত মানসম্পন্ন সুস্বাদু আম উৎপাদন ও বিপনন করা সম্ভব। ব্যাগিং আমের মধ্যে কোন ধরনের স্পট দেখা যায় না। এখানে কোনো বালাইনাশকের প্রয়োজন হচ্ছে না। নন-ব্যাংগিং এবং ব্যাগিং পদ্ধতির এই পার্থক্য।
চাষী অনেক আগে থেকেই বালাইনাশক ব্যবহার করত। হঠাৎ করেই কেন আমরা আসলে ব্যাগিং করতে বলছি-
যদি আমরা আম এক্সপোর্ট করতে চাই। আমরা যদি আমের বাণিজ্যিক উৎপাদন করতে চাই তাহলে সেটা ব্যাগিং করতে হবে।
ব্যাগিং করলে তিনটি বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় একটি পোকামাকড় লাগবে না। আমগুলো সুন্দর হবে। বালাইনাশকের ব্যবহারে যে খতি হয় সেটি থাকবে না। মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয় এমন কোন উপাদান থাকবে না এ তিনটি বিষয় মাথায় রেখেই আমরা বেগুন পদ্ধতি চালু করেছি।
ব্যাংকিং পদ্ধতি করার ফলে ২০১৫ সাল থেকেই বিদেশে আম রপ্তানি করা হচ্ছে। গতবার ৬২২ মেট্রিকটন আম বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হয়েছে পৃথিবীর ২২টি দেশে।
আসলে এটি লাভজনক হবে কিনা-
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এই ব্যাগিং পদ্ধতিতে প্রতিমণ আমে ৫০০ টাকা বেশি লাভ সম্ভব।
মণ হিসাবে ৫০০ টাকা বেশি লাভ হবে। কেন মণ হিসাবে বললাম-১০ বছর বয়সী একটি আমের গাছে ৮০০ কিংবা ১০০০ টাকা লাভ হবে বললে সেটি চাষিপর্যায়ে বোধগম্য হবে না। সবকিছু বাদ দিয়ে ৫০০ টাকা বেশি লাভ হবে এটা আমরা হিসাব কষে দেখেছি। ব্যাগিং এর খরচ সবকিছু বাদ দিয়ে ৫০০ টাকা বেশি লাভ হবে।
তবে ব্যাগিং করা পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে এবং সঠিক সময়ে সঠিকভাবে ব্যাগিং করতে হবে। এবং সঠিক সময়ে বাজারজাত করতে হবে। তাহলে আপনি এই সুবিধা লাভ করতে পারবেন।
ব্যাগিংয়ে প্রতিমণ আমে লাভ ৫০০ টাকা বেশি লেখাটির তথ্য দিয়েছেন ড. মো. শরফ উদ্দিন, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ফল বিভাগ, উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গাজীপুর। সূত্র : এগ্রিকেয়ার২৪.কম
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।