ধর্ম ডেস্ক : রমজানের দ্বিতীয় দশককে বলা হয় মাগফিরাতের দশক, যেখানে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য ক্ষমা ও দয়া বর্ষণ করেন। এই সময়ে মুসলমানরা বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন হয়ে থাকেন এবং আল্লাহর নিকট নিজেদের গুনাহ মাফের জন্য প্রার্থনা করেন।
মাগফিরাতের বিশেষ দোয়া
রমজানের এই পবিত্র সময়ে আমাদের উচিত আল্লাহর ক্ষমা পাওয়ার জন্য বিশেষ দোয়া করা। হাদিসে বর্ণিত আছে, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْلِيْ وَارْحَمْنِيْ وَعَافِنِيْ وَارْزُقْنِيْ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগফিরলী ওয়ারহামনী ওয়া’আফিনী ওয়ারযুকনী
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে সুস্থতা দিন এবং আমাকে রিজিক দিন।
মাগফিরাতের দশকের ফজিলত
১. আল্লাহর ক্ষমা লাভের শ্রেষ্ঠ সময়: এই দশকে বেশি বেশি ইস্তেগফার করলে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করেন।
২. দোয়া কবুলের অন্যতম সময়: রমজানের এই সময়ে আল্লাহ বান্দার দোয়া কবুল করেন এবং জান্নাতের দরজাগুলো উন্মুক্ত রাখেন।
গুনাহ মাফের আশার বাণী: নবী (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি রমজানে ইবাদত করবে ও ক্ষমা প্রার্থনা করবে, তার পূর্বের সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।”
মাগফিরাতের দোয়ার গুরুত্ব
রমজান হলো আত্মশুদ্ধির মাস, আর মাগফিরাতের দশক বিশেষভাবে বান্দার গুনাহ মাফের জন্য নির্ধারিত। তাই এই সময়ে ইবাদতের পাশাপাশি নিম্নলিখিত আমলগুলো করা উচিত:
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর ইস্তেগফার করা
রাতের তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা
কুরআন তেলাওয়াত বৃদ্ধি করা
দরিদ্র ও অসহায়দের সাহায্য করা
শেষ কথা
রমজানের মাগফিরাতের দশক আমাদের জন্য একটি বিরাট নিয়ামত। এই সময়ে আমরা যদি মন থেকে তওবা করি, তাহলে আল্লাহ আমাদের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিতে পারেন। তাই আসুন, এই পবিত্র সময়টাকে কাজে লাগিয়ে আল্লাহর ক্ষমা ও রহমত লাভের জন্য আন্তরিকভাবে দোয়া করি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।