ধর্ম ডেস্ক : আল্লাহতায়ালা তার প্রিয় বান্দাদের বিপদ ও মসিবত দিয়ে পরীক্ষা করেন। পবিত্র কুরআনের সুরা বাকারার ১৫৫নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আর আমরা তোমাদের অবশ্যই পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং ধনসম্পদ, জীবন ও ফসলের ক্ষতি দ্বারা। আর আপনি সুসংবাদ দিন ধৈর্যশীলদের।’
রাসুলুল্লাহ (সা.) এক লোককে বলতে শুনেছেন যে, “হে আল্লাহ! আমাকে সবরের শক্তি দান করো। তখন তিনি বললেন, তুমি বিপদ কামনা করেছ, সুতরাং তুমি নিরাপত্তা চাও।” [মুসনাদে আহমাদ: ৫/২৩১,২৩৫]
ইসলামি বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিরাপত্তা চাওয়ার প্রধান পদ্ধতি হচ্ছে— দোয়া করা। আল্লাহর কাছে নিরাপত্তা চাওয়া ও বিপদ-আপদ থেকে মুক্তির জন্য রাসুল (সা.) আমাদের জন্য অসংখ্য দোয়া ও জিকির রেখে গেছেন। বিপদ যত কঠিনই হোক তা থেকে আল্লাহ ছাড়া কেউ-ই আমাদের মুক্তি দিতে পারে না। বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছেই দোয়া করতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) যখনই কোনো কঠিন সমস্যায় পড়তেন, তখনই আল্লাহর কাছে একান্তভাবে প্রার্থনা করতেন।
বিখ্যাত মুহাদ্দিস মোল্লা আলি কারী (রহ.) বিশিষ্ট তাবেই হজরত মাকহুল (রহ.)-এর সূত্রে তার অমর গ্রন্থ মেরকাতে বর্ণনা করেছেন, ‘যে ব্যক্তি লা হাওলা ওয়ালা কুউয়াতা ইল্লা বিল্লাহি লা মানজাআ মিনাল্লাহি ইল্লা ইলাইহি’ পাঠ করবে, মহান আল্লাহ তার ৭০টি বিপদ দূর করে দেবেন। এর মধ্যে সবচেয়ে ছোট বিপদ হলো— অভাব-অনটন বা আর্থিক দৈন্য। (মেরকাত: ৫/১২১)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।